দেখতে আর দশটা গরুর মতোই সাদামাটা। তার পরেও কিন্তু যুক্তরাজ্যের এই গবাদি পশুগুলো ব্যতিক্রমধর্মী। ইন্টারনেট ব্যবহারের দিক থেকে তারা অন্যদের থেকে আলাদা। তারা যে ৫জি ইন্টারনেট সংযুক্ত। বলতে গেলে আপনার আমার অনেক আগেই তারা ৫জি ইন্টারনেট সুবিধা উপভোগ করছে।
মার্কিন বহুজাতিক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান সিস্কো সিস্টেম প্রত্যন্ত তিনটি এলাকায় মোবাইল ও ওয়্যারলেসের নেটওয়ার্কের উন্নয়নের জন্য পরীক্ষামূলক কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে। তারই অংশ হিসেবে ওই গরুর পালদের ৫জি নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে।
অত্যন্ত গতি সম্পন্ন নেটওয়ার্কের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ৫জি। যার ফলে আমাদের জীবন যাপনের সকল পদ্ধতিতে আমূল পরিবর্তন আসবে। স্বয়ংক্রিয়ভাবে চলবে গাড়ি এবং মোবাইলে কোনো সিনেমা ডাউনলোডের ক্ষেত্রে সেকেন্ডেরও কম সময় লাগবে।
তবে ৫জি ব্যাপকহারে চালু হতে আরো কয়েক বছর সময় লাগবে। প্রথমদিকে চীন, জাপান ও যুক্তরাষ্ট্র এটার সুফল পাবে। তবে ২০২৩ সালের আগে ৫জি ব্যাপকহারে বাজারে আসবে না বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
ব্রিটিশ ওই গরুগুলোর গলায় ৫জি ডিভাইস সংযুক্ত করে দেওয়া আছে। ৫জি ব্যবহার করে গরু গুলোর দুধের পরিমাণ ও অন্যান্য হিসেব রাখা হয়। সেগুলো নিয়ন্ত্রণ করা হয় এক রোবটের সাহায্যে।
যখন ওই গরুগুলো দুধ দেওয়ার জন্য প্রস্তুত হয়; তখন ৫জি নেটওয়ার্কের সাহায্যে তা জানা যায়। এমনকি ওই গরুর খাদ্যে কী ধরনের পরিবর্তন আনা দরকার, সেটাও জানা যায়।
ব্রিটিশ সরকারের আর্থিক সহায়তায় যুক্তরাজ্যের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলেরও একটি খামারে একশ ৮০টি গরুর মধ্যে অন্তত ৫০টির কানের সঙ্গে একটি করে ডিভাইস লাগানো হয়েছে। যার সাহায্যে গরুগুলোকে সার্বক্ষণিক মনিটরিং করা যাচ্ছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ৫জি ব্যবহারের ফলে আমরা অনেক বেশি সুবিধা পাচ্ছি। ইন্টারনেটের ধীরগতি কিংবা সিসিটিভি ক্যামেরার সহায়তা নেওয়ার বালাই নেই। কেবল খামারের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য নয় এটি। ধীরে ধীরে এ প্রযুক্থি ছড়িয়ে দেওয়া হবে।
খামারের মালিক নিক ক্রিস বলেন, আমরা আমাদের প্রতিটি গরুর সঙ্গে ৫জি ডিভাইস সংযুক্ত করবো। এছাড়া খামারের অন্যান্য সব প্রাণীর সঙ্গেও ডিভাইসটি যুক্ত করবো। কারণ যে ধরনের জনবল আমাদের দরকার ছিল এই গরুগুলো নিয়ন্ত্রণের জন্য; তার কয়েকগুণ কমিয়ে দিয়েছে ৫জি।