সেলফোন, স্মার্টফোন বা মোবাইলের অর্থ চুরিতে নতুন ম্যালওয়্যারের ব্যাপারে ব্যবহারকারীদের সতর্ক করেছে মাইক্রোসফট। টোল ফ্রডের বা জালিয়াতির মাধ্যমে ওয়াই-ফাই কানেকশন বন্ধ করে দিয়ে মোবাইলে থাকা ব্যালান্স হাতিয়ে নেয়া সম্ভব। খবর আইএএনএস।
এসএমএস, কলসহ অন্যান্য বিলিং জালিয়াতির তুলনায় টোল জালিয়াতির কার্যক্রম ও আচরণ সম্পূর্ণ ভিন্ন। মাইক্রোসফটের ৩৬৫ ডিফেন্ডার গবেষণা দলের তথ্যানুযায়ী, এসএমএস ও কল জালিয়াতিতে নির্দিষ্ট নম্বরে মেসেজ পাঠানো ও কল করা হলেও টোল জালিয়াতিতে একাধিক উপায়ে আক্রমণ চালানো হয়। ম্যালওয়্যারের উন্নয়নকারীরা প্রতিনিয়ত এতে পরিবর্তন আনতে পারে।
উদাহরণস্বরূপ, এ হামলাকারীরা কীভাবে নির্দিষ্ট নেটওয়ার্ক অপারেটরের আওতায় থাকা ব্যবহারকারীকে শিকারে পরিণত করে সে বিষয়ে সবাই অবগত। প্রতিষ্ঠানটি জানায়, হ্যাকাররা প্রতিনিয়ত তাদের অনুসন্ধান অব্যাহত রাখে। অর্থাৎ তাদের লক্ষ্যবস্তু নির্দিষ্ট অপারেটরের সঙ্গে যুক্ত আছে কিনা সেটি নিশ্চিত করে। সেই সঙ্গে এটি তার কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ভুক্তভোগীর ডিভাইসে ওয়াই-ফাই কানেকশন থাকলেও মোবাইল নেটওয়ার্কে যুক্ত হওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করে।
যখন কোনো বড় নেটওয়ার্কে লক্ষ্যবস্তুর সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়া যায়, ম্যালওয়্যারটি ব্যবহারকারীর অগোচরেই একটি জালিয়াতমূলক সাবস্ক্রিপশন পরিষেবা চালু করে দেয়। কিছু ক্ষেত্রে হামলাকারীরা ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড প্রদানের বিষয়টিও নিয়ন্ত্রণ করে।
মাইক্রোসফট এক বিবৃতিতে বলে, ভুক্তভোগীর সেলফোনে সাবস্ক্রিপশন পরিষেবা চালুর পর ম্যালওয়্যারের মাধ্যমে সাবস্ক্রিপশন সংক্রান্ত সব নোটিফিকেশন মুছে দেয়। যাতে ব্যবহারকারী সতর্ক হয়ে সার্ভিসটি আনসাবস্ক্রাইব না করতে পারে। টোল জালিয়াতির আরেকটি ভিন্ন বৈশিষ্ট্য হলো এর গতিশীল কোডিং ব্যবস্থা। মোবাইল বা সেলফোনে যে নিরাপত্তা ব্যবস্থা, কোডিংয়ের কারণে তা হামলার বিষয়টি শনাক্ত করতে পারে না।