আর মাত্র কয়েকটা দিন। মুসলমানদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহা। পশুর হাটের পর এবার জমে ওঠেছে ফ্রিজের বাজার। ঈদের আগের ঘণ্টাগুলোতে সাশ্রয়ী মূল্যে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব উচ্চ গুণগতমানের ফ্রিজ বিক্রি হচ্ছে আশাতীত।
রেফ্রিজারেটর বা ফ্রিজ বর্তমান সময়ে আমাদের প্রাত্যহিক জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। ‘সকল প্রয়োজন আয়োজনে যমুনার পণ্য’ স্লোগানে যমুনা ইলেকট্রনিকস এখন বাংলাদেশের রেফ্রিজারেটর ও ফ্রিজার ক্যাটাগরিতে একটি কোয়ালিটি ব্র্যান্ড। যমুনা ইলেকট্রনিকস এর ফ্রিজ সেলস বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, বর্তমানে ২৫০টিরও বেশি মডেলের ফ্রিজ তারা নিজস্ব অত্যাধুনিক ফ্যাক্টরিতে উৎপাদন করছে। আধুনিক যন্ত্রপাতি, অত্যাধুনিক প্রযুক্তি, দক্ষ জনবল, উন্নত কাঁচামাল ও প্রতিনিয়ত উদ্ভাবনী ও উৎকর্ষ সাধনের ফলে যমুনা এগিয়ে রয়েছে সামনের সারিতে।
সিলিকন জেল মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর। খাদ্যমান ও নষ্ট করে এই জেল। অথচ দেশের বাজারে প্রচলিত ফ্রিজগুলো তৈরি হয় এই সিলিকন জেল দিয়ে। যমুনা ইলেকট্রনিকস এর হেড অব বিজনেস সাজ্জাদুল ইসলাম বলেন, “যমুনা ফ্রিজ উৎপাদন প্রক্রিয়ার কোথাও সিলিকন জেল ব্যবহার করা হয় না। আরেকটি অতিগুরুত্বপূর্ণ তথ্যের দিকে আমাদের দেশের অধিকাংশ ক্রেতাই নজর দেন না। বাজারের প্রচলিত অনেক ফ্রিজেই আর১৩৪এ গ্যাস ব্যবহূত হয়, যা মানবদেহ ও পরিবেশের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। যমুনার ফ্রিজগুলোয় আর৬০০এ গ্যাস ব্যবহূত হয়, যা পরিবেশবান্ধব ও মানবদেহের ক্ষতি করে না।”
সাজ্জাদুল ইসলাম আরও জানান, অত্যাধুনিক প্রযুক্তির অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল গ্যাসকেট ব্যবহারের ফলে খাবারের মান ঠিক থাকার পাশাপাশি বিদ্যুৎ খরচ ৭০ শতাংশ কম হয়। তবে আন্তর্জাতিক গুণগত মান ঠিক রাখতে উৎপাদন ব্যয় অন্যদের তুলনায় অনেক বেশি হওয়া সত্ত্বেও যমুনার রেফ্রিজারেটর ও ফ্রিজার বাজারে প্রচলিত যেকোনো রেফ্রিজারেটর ও ফ্রিজারের তুলনায় কম মূল্যে ক্রেতাদের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে।
যমুনা ইলেকট্রনিকস এর হেড অব রিটেইল আবুল কালাম আজাদ বলেন, “আমরা বিশ্বাস করি সংখ্যা নয়, গুণে ও মানে সেরা হওয়াই আসল কথা। তাই আমাদের রেফ্রিজারেটরে বিক্রয়োত্তর সার্ভিসের প্রয়োজন হয় না বললেই চলে। প্রতি পাঁচ বছরে কম্প্রেসর পরিবর্তনের হার ১ শতাংশের নিচে, যা বাজারে প্রচলিত অন্যান্য ফ্রিজের তুলনায় অনেক কম। সাধারণত রেফ্রিজারেটর বা হোম অ্যাপ্লায়েন্স উৎপাদন প্রক্রিয়ায় ৭-১০ শতাংশ ত্রুটি থাকে। কিন্তু যমুনা বাংলাদেশের একমাত্র রেফ্রিজারেটর ব্র্যান্ড, যার উৎপাদন ত্রুটি ১ শতাংশের নিচে।”
নিত্যনতুন চাহিদা ও গ্রাহক সন্তুষ্টির কথা মাথায় রেখে যমুনা অবিরত কাজ করে চলছে। দেশের সব জনগোষ্ঠীর ক্রয়ক্ষমতা বিবেচনায় রেখে বিভিন্ন সাইজ, ডিজাইন, ধারণক্ষমতা ও দামে পাওয়া যাচ্ছে যমুনা রেফ্রিজারেটর। ১০ বছরের ওয়ারেন্টি ও দেশব্যাপী বিস্তৃত যমুনার সার্ভিস সেন্টারগুলোয় ক্রেতারা সহজেই বিক্রয়োত্তর সেবা নিতে পারবেন। সারা দেশে গ্রাহকের কাছে সেরা মানের পণ্য পৌঁছে দিতে অতিসত্বর বাংলাদেশের প্রতিটি থানায় যমুনা প্লাজা স্থাপন করা হবে।
বৈশ্বিক করোনার থাবা ও সাম্প্রতিক ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে রেফ্রিজারেটর তৈরির কাঁচামাল, বিশেষ করে চিপ যন্ত্রাংশ সরবরাহে কিছুটা বিঘ্ন ঘটলেও দেশের চাহিদা বিবেচনায় উৎপাদন প্রক্রিয়া সচল রয়েছে যমুনার। শুধু তা-ই নয়, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতেও পণ্যের অতিরিক্ত দাম না বাড়িয়ে ক্রেতাদের কাছে সাশ্রয়ী মূল্যে সরবরাহ করছে যমুনা। বিশাল এ কর্মযজ্ঞে দেশের হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে, যা দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে।