বছরে দ্বিতীয় প্রান্তিকে এসে নেটফিক্স বড় ধরনের বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে। গত এপ্রিল থেকে জুলাইয়ের মাঝে এসে অনলাইন স্ট্রিমিং সাইটটি প্রায় ১০ লাখ গ্রাহক হারিয়েছে।
যদিও স্ট্রিমিং জায়ান্ট নেটফ্লিক্স জানিয়েছে, তারা যতটা ধারণা করেছিল, তার চেয়ে কম সংখ্যক গ্রাহক হারিয়েছে। এরপরেও প্রতিষ্ঠানটির প্রধান কর্মকর্তা রিড হোস্টিং বিষয়টিকে ‘অচেনা জিনিস’ বলে উল্লেখ করেছেন।
নেটফ্লিক্সের গ্রাহক হারানোর খবর এটিই প্রথম নয়। চলতি বছরের শুরু দিকেও প্রতিষ্ঠানটি প্রায় ২ মিলিয়ন গ্রাহক হারায়।
এদিকে গত মঙ্গলবারে প্রকাশিত প্রতিবেদনে দেখা যায়, গত তিন মাসে ইউরোপের পরে আমেরিকা ও কানাডা থেকে প্রতিষ্ঠানটি সবচেয়ে বেশি গ্রাহক হারায়। যা ছিল নেটফ্লিক্সের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বিপর্যয়।
এদিকে অ্যাম্পিয়ার অ্যানালাইসিসের নির্বাহী পরিচালক গাইন বিসন বলেন, স্ট্রিমিং বাজারে নেটফ্লিক্সের আধিপত্য কিছুটা শিথিল হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, আপনি যখন মার্কেটে চূড়ায় থাকবেন, তখন আপনাকে অন্যদের সঙ্গে তুমুল প্রতিযোগিতা করে টিকে থাকতে হবে। নেটফ্লিক্স যা গত কয়েক বছরে হারে হারে টের পাচ্ছে।
মহামারির মধ্যে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবসায় রীতিমতো চোখ কপালে তোলার মত উন্নতি করে। তবে মহামারী পরবর্তী বাজারে নিজেকে ঠিক মতো মেলে ধরতে পারছে। তাই নিয়মিত গ্রাহক হারাচ্ছে। একই সময়ে অ্যাপল টিভি, এইচবিও ম্যাক্স, অ্যামাজন প্রাইম ও ডিজনি- বেশ ভালো করছে।
এ নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম বিবিসি। এতে প্যাকেজের দাম বৃদ্ধিকে গ্রাহক হারানোর অন্যতম কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়।
যেখানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে একই সঙ্গে দুই ডিভাইসের জন্য নেটফ্লিক্স প্যাকেজ কিনলে খরচ হতো ১৪ ডলার। সেটা বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ১৫.৪৯ মার্কিন ডলার। অপর দিকে যুক্তরাজ্যের জন্যও দাম বাড়িয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। সেখানে বেসিক ও স্ট্যান্ডার্ড প্যাকেজ প্রতি ১ ইউরো করে দাম বেড়েছে। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই নির্দিষ্ট সংখ্যক গ্রাহক হারিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
বিষয়টি নিয়ে ইনসাইডার ইন্টেলিজেন্স বিশ্লেষক রস বেনেস বলেন, নেটফিক্সের গ্রাহক হারানোর বিষয়টি অনেকটাই প্রত্যাশিত ছিল। তবে বিষয়টি যেকোনো কোম্পানির জন্যই বেদনাদায়ক। যেখানে নেটফিক্সে মতো প্রতিষ্ঠান গ্রাহকদের সাবস্ক্রিপশন আয়ের উপর নির্ভরশীল।