ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, বঙ্গবন্ধু এবং বাংলাদেশ পৃথিবীর ৩৫ কোটি বাংলা ভাষাভাষী মানুষের অহংকার। আমাদের একজন বঙ্গবন্ধু ছিলেন বলেই হাজার বছরের পরাধীন এ জাতি বাঙালির একমাত্র স্বাধীন জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করতে পেরেছে। বঙ্গবন্ধুর প্রতি সারা দুনিয়ার বাংলা ভাষাভাষী মানুষের শ্রদ্ধা ও ভালবাসা আমাদের গর্ব।
মন্ত্রী গতকাল ২৯ জুলাই সন্ধ্যায় ঢাকায় শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু জন্মশতবর্ষ ও বাংলাদেশের সুবর্ণজয়ন্তী আন্তর্জাতিক উদযাপন পর্ষদ আয়োজিত ভারতের আগরতলা থেকে বৃহৎ কলেবরে প্রকাশিত বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ ও বাংলাদেশের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক স্মারক গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
কবি অসীম সাহার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বাংলা একাডেমির সভাপতি কথা সাহিত্যিক সেলিনা হোসেন, কবি আসলাম সানি, আন্তর্জাতিক এই স্মারক গ্রন্থের সম্পাদক ভারত থেকে আগত ড. দেবব্রত দেবরায়, প্রধান সম্পাদক ড. মুজাহিদ রহমান, কলকতার বিশিষ্ট সাংবাদিক অমিত ভৌমিক, বিশিষ্ট কবি বরুণ চক্রবর্তী এবং আবৃত্তি শিল্পী সেলিম দুরানী বিশ্বাস প্রমূখ বক্তৃতা করেন।
ডাক ও টেলিযোযোগ মন্ত্রী বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ প্রদানসহ তাদের খাদ্য দিয়ে, আশ্রয় দিয়ে সহায়তা করার জন্য ভারতের ভূমিকার প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এই ভূখণ্ডের মানুষের প্রাতস্মরণীয় ব্যক্তিত্ব। তার জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে যে প্রতিবেশি দেশ ভারতের আগরতলা থেকে স্মারক গ্রন্থ প্রকাশ করে আমাদেরকে গর্বিত করেছে।
আগরতলার মানুষের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে মন্ত্রী মুক্তিযুদ্ধে তিনি নিজে মেঘালয়ে এবং তার ১৯ বছর বয়সী স্ত্রী বকুল মোস্তাফা আগরতলায় প্রশিক্ষণকালের স্মৃতির স্মরণ করে বলেন, বাঙালির প্রতি সীমান্তের ওপারের মানুষদের গভীর মমত্ববোধ কোন দিনও ভোলার নয়। স্মারক গ্রন্থ প্রকাশ করে আপনারা যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন তা আমাদের জন্য অবিস্মরণীয় হয়ে থাকবে বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন।
দুই দেশের বিশিষ্ট শিল্পিগণ দু‘দেশের জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন। পরে মন্ত্রী স্মারক গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেন।