তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক হাইটেক পার্ক হবে ডিজিটাল অর্থনীতির চালিকাশক্তি উল্লেখ করে বলেন, বাংলাদেশ শ্রমনির্ভর অর্থনীতি থেকে ডিজিটাল অর্থনীতির দিকে যাত্রা শুরু করেছে।
প্রতিমন্ত্রী গাজীপুরের কালিয়াকৈরে বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটিতে বাংলাদেশ টেকনোসিটি লিমিটেড ও ফেলিসিটি আইডিসি ইন্টারনেট ডেটাসেন্টার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
পলক উপাত্ত বিশ্লেষণ ভিত্তিক সল্যুশন দিয়ে তেল সমৃদ্ধ অনেক জাতি থেকে বাংলাদেশ আরো সমৃদ্ধ হবে উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, ইতিমধ্যেই আমরা আমাদের তথ্য-উপাত্তের নিরাপত্তার জন্য ডেটা প্রটেকশন অ্যাক্টের খসড়া প্রণয়ন করেছি। সবার মতামত নিয়েই এই আইন করা হবে। আশা করা যাচ্ছে, এখানে (টেকনোসিটি ও ফেলিসিটি আইডিসি ইন্টারনেট ডেটাসেন্টারে) আরো ২ থেকে আড়াইশ কোটি টাকার অতিরিক্ত বিনিয়োগ আসবে।
তিনি বলেন, আগামী ১০ বছরের মধ্যে এখানে আরো ৫০ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হবে এবং এই সময়ের মধ্যে হাইটেক টাউনশিপে ইকোসিস্টেম গড়ে উঠবে।
প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদের দূরদৃষ্টি সিদ্ধান্তের ফসল ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন উপভোগ করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, কাওরান বাজারে কোনো জয়গা খালি নেই। বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটিতে বিনিয়োগের এখনই সঠিক সময়। তাই এখনই অল্প বিনিয়োগে স্বল্প খরচে হাইটেক পার্কে ব্যবসা-বাণিজ্য শুরু করা যাবে। হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার কিংবা বিপিও যে ব্যবসাই হোক না কেন আমাদের এখানে যে সুবিধা আছে বাংলাদেশের কোথাও সে সুবিধা পাওয়া যাবে না।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সাশ্রয়ী, উদ্ভাবনী ও টেকসই স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে তরুণদের চাকরিজীবি হওয়ার পরিবর্তে উদ্যোক্তা হতে সরকারের সব আয়োজন। তিনি বলেন, ইতিমধ্যেই স্টার্টআপ কোম্পানি বাংলাদেশ গঠন করে দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর ৫০০ কোটি টাকা দিয়েছেন। ১০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ শুরু হয়েছে। হাইটেক পার্কে কেউ আবেদন করলে সেখান থেকেও আমরা তাদেরকে ইক্যুইটি ইনভেস্টমেন্টের সুযোগ দিতে পারি।
শেষে তিনি নতুন ডেটা সেন্টার ও নোকিয়া মোবাইল ফোন ফ্যাক্টরি ঘুরে দেখেন।