তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, আইসিটি বিভাগ থেকে সাড়ে ৩০০ স্টার্টআপকে অফেরতযোগ্য ১০ লাখ টাকা করে অনুদান দেয়া হয়েছিল। এদের মধ্যে কিছু কিছু স্টার্টআপ কোম্পানি ৫ বছরেই শত মিলিয়ন ডলারের কোম্পানিতে রূপান্তরিত হয়েছে। দেশে বর্তমানে ২ হাজার ৫০০ সফল স্টার্টআপ কোম্পানি ১৫ লক্ষ তরুণের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে।
প্রতিমন্ত্রী আজ ঢাকায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ মিলনায়তনে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ লিমিটেড এবং বাংলাদেশ স্টার্টআপ কোম্পানি লিমিটেডের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে ‘টেক স্টার্টআপ এবং গ্রোথ স্টেজ কোম্পানিগুলোর জন্য সম্ভাবনা এবং সুযোগ’ শীর্ষক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
আইসিটি বিভাগ থেকে সাড়ে ৩০০ স্টার্টআপকে অফেরতযোগ্য ১০ লাখ টাকা করে অনুদান দেয়া হয়েছিল।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আইসিটি বিভাগ প্রযুক্তিগত সহায়তা দিয়ে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এক্সচেঞ্জ কমিশনকে বিশ্বের নেতৃত্বদানকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলা হবে। এ লক্ষ্যে ৭-১০ মিলিয়ন ডলার ব্যয় করে বিএসইসি’র জন্য বেশ কিছু ডিজিটাল সল্যুশন তৈরি করা হচ্ছে।
তিনি বলেন বিকাশ দেশের প্রথম ইউনিকর্ন হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। বিশ্ব বিখ্যাত নামকরা বড় বড় ভেঞ্চার ক্যাপিটাল কোম্পানি বাংলাদেশে বিনিয়োগ করছে। মাত্র গত ৫ বছরে আমাদের বাংলাদেশ স্টার্টআপে ৭৫০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ এসেছে। বাংলাদেশের প্রতি সারাবিশ্বের বিনিয়োগকারীদের একটা নজর রয়েছে। তারা মনে করছে বাংলাদেশ ইকোনমি গ্রো করছে, বাংলাদেশে স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম গড়ে উঠেছে। তাই বাংলাদেশে বিনিয়োগ তাদের জন্য লাভজনক হবে।
পলক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৫০০ কোটি টাকা দিয়ে স্টার্টআপ কোম্পানি গঠন করে দিয়েছেন। তার মধ্যে ১৫-২০ কোম্পানিতে প্রায় ১০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে। আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে ৫০০ কোটি টাকা দেশের স্টার্টআপ কোম্পানিতে বিনিয়োগ করা হবে।
সিড, গ্রোথ, গাইডেড, টার্গেড এই চার স্তরে স্টার্টআপকে বিন্যস্ত করে স্টার্টআপগুলোকে যথাযথ সহায়তা দেয়া গেলেই আগামীতে স্টার্টআপ কোম্পানিগুলো ডিজিটাল ইকোনোমির চালিকা শক্তিতে পরিণত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী ।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ লিমিটেডের চেয়ারম্যান মো. ইউনুসুর রহমানের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের চেয়ারম্যান শিবলি রুবাইয়্যাতুল ইসলাম, বিএসইসি কমিশনার শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ, স্টার্টআপ বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সামি আহমেদ।
উল্লেখ্য, গ্রোথ স্টেজের উদ্যোক্তাদের পুঁজিবাজারে নিয়ে আসতে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সঙ্গে স্টার্টআপ বাংলাদেশের মধ্যে একটি সমঝোতা চুক্তি হয়েছে। ঢাকা স্টক একচেঞ্জ মিলনায়তনে এই চুক্তিতে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে চুক্তিতে সই করেন ঢাকা স্টাক এক্সচেঞ্জ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক তারিক আমিন ভূইয়া এবং স্টার্টআপ বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সামি আহমেদ।