প্রতিদিন রাজধানীতেই অহরহ ঘটছে মুঠোফোন ছিনতাইয়ের ঘটনা। এ থেকে রক্ষা পাচ্ছে না সরকারের মন্ত্রী, বিরোধী দলীয় নেতা বা সাধারণ গ্রাহক। এ সকল ছিনতাই হওয়া হ্যান্ডসেট উদ্ধারে খুব একটা তৎপরতা যেমন নেই, ঠিক তেমনি উদ্ধারের সংখ্যাও নেহায়েত খুব কম। তাই গ্রাহকদের হারিয়ে যাওয়া বা ছিনতাই হওয়া হ্যান্ডসেট উদ্ধারে ওয়ান স্টপ সার্ভিস চালু করার দাবি জানিয়েছেনগ্রাহক স্বার্থ নিয়ে কাজ করার সংগঠন বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন।
মঙ্গলবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সংগঠনটির সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, দণ্ডবিধির ৩৭৯ ধারায় মুঠোফোন চুরি করার অপরাধে দায়ী ব্যক্তির তিন বছর কারাদণ্ড বা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করার বিধান রয়েছে। কিন্তু আজ পর্যন্ত ফৌজদারি অপরাধে মুঠোফোন ছিনতাইকারী কোন ব্যক্তির এ ধরনের সাজা হয়েছে বলে আমাদের জানা নেই। আমরা লক্ষ্য করেছি যে, ছিনতাইকারীর কবলে পড়া গ্রাহক থানায় সাধারণ ডায়েরি দায়ের করার পর সেটি পাঠিয়ে দেয়া হয় জেলার এসপি অফিস কিংবা মহানগরের ক্ষেত্রে সেটি পাঠিয়ে দেয়া হয় পুলিশের ডিসি অফিসে।
সেখান থেকে বিষয়টি পাঠানো হয় পুলিশ সদরদপ্তরে। এরপর পুলিশ সদরদপ্তর থেকে সংশ্লিষ্ট মোবাইল ফোন কোম্পানির কাছে পাঠানো হয় বিস্তারিত তথ্য জানার জন্য।
তিনি বলেন, বিটিআরসিতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা হিসেবে অনেকে আবেদন বা যোগাযোগ করে সুফল পেয়েছে এমন তথ্য আমাদের জানা নেই। আমরা ব্যক্তিগত হিসেবেও যোগাযোগ করে জানতে পেরেছি বিটিআরসি কেবলমাত্র আইএমইআই নাম্বার শনাক্তকরণ করে কেবলমাত্র চলমান হ্যান্ডসেটটি নিষ্ক্রিয় করার সক্ষমতা রাখে। মঠোফোন প্রচারের ক্ষেত্রে বিটিআরসি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এমনকি অপারেটরদের মধ্যে নেই কোন ইকো সিস্টেম। অনেক গ্রাহকরা থানায় ঘুরতে ঘুরতে অনেক সময় আর খোঁজ-খবর রাখে না। হয়রানির ভয়ে অনেকে থানায় জিডি বা মামলা করতেও অনিচ্ছা প্রকাশ করে। অপরাধীরা শাস্তি না পাওয়ার কারণে দিন দিন তারা আরো বেপরোয়া হয়ে উঠছে। তাদের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না মন্ত্রী হামলা, এমনকি নিরাপত্তা কর্মীসহ সাধারণ নাগরিক।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পরামর্শ হিসেবে সংগঠনটির সভাপতি বলেন, আমি মনে করি, যদি একটি ইকো সিস্টেম তৈরি করা যায় যেমন, ওয়ান স্টপ সার্ভিস, সেটা হতে পারে নিয়ন্ত্রণ সংস্থা বা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অধীনে। তবেই মিলতে পারে গ্রাহকদের কাঙ্ক্ষিত নিরাপত্তা। ছিনতাইকারি চক্র এতটাই প্রযুক্তি মেধাসম্পন্ন হয়ে গেছে যে, তারা প্রথমে নেটওয়ার্ক আইসি পরিবর্তন, ব্যাটারি খুলে ফেলা এবং আইএমইআই নাম্বার পরিবর্তন করে ফেলতে পারছে।
তিনি বলেন, নিয়ন্ত্রণ সংস্থা এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি আমাদের বিনীত অনুরোধ, দ্রুত একটি ওয়ান স্টপ সার্ভিস প্রতিষ্ঠা করুন।