সম্প্রতি সফোস ‘দ্য ফিউচার অফ সাইবার সিকিউরিটি ইন এশিয়া প্যাসিফিক অ্যান্ড জাপান’ নামের তাদের এক জরিপ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। সফোস জরিপ কাজটি করেছে দ্য টেক রিসার্চ এশিয়া (টিআরএ) নামের একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সহযোগী হিসেবে। প্রতিবেদনে বলা হয়, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো ক্রমাগত সাইবার নিরাপত্তায় তাদের বাজেট বাড়াচ্ছে। ২০২২ সালের এসে প্রযুক্তি বাজেটের ১১ শতাংশই ব্যয় হচ্ছে সাইবার নিরাপত্তায়, যা আগের বছরের চেয়ে ৮ দশমিক ৬ শতাংশ বেশি।
এশিয়া প্যাসিফিক ও জাপানে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো সাইবার নিরাপত্তা জোরদারে সাইবার হুমকি শনাক্তকেই মূল হিসেবে বিবেচনায় নেয়। আর এতেই খরচ করে বেশি। ২০২১ সালে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান (প্রায় ৯০ শতাংশ) তাদের সাইবার নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্য সাইবার হুমকি শনাক্ত করার কাজ করেছে। এদের মধ্যে ৮৫ শতাংশ বলছে, পদ্ধতিটি তাদের প্রতিষ্ঠানের সাইবার নিরাপত্তার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।
এর আগে সফোস র্যানসামওয়্যারের যে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল সেখানে বলা হয়, এপিজে অঞ্চলের ৭২ শতাংশ প্রতিষ্ঠান ২০২১ সালে র্যানসামওয়্যার হামলার শিকার হয়েছে। যা আগের বছর ২০২০ সালের চেয়ে ৩৯ শতাংশ বেশি।
জরিপে অংশ নেয়া ৪৫ শতাংশ কোম্পানি বলছে, তারা গত ১২ মাসে তাদের তথ্য বা সাইবার নিরাপত্তায় কোনো পরিবর্তন আনেনি, যা তাদের তাদের সাইবার নিরাপত্তায় একটি পরোক্ষ নির্দেশ করে। তবে কখনও কখনও সাইবার নিরাপত্তায় অবশ্যই সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে। তাদের কৌশল পরিবর্তনের পেছনে চালিকাশক্তি হলো একটি সাইবার হামলা বা ব্রিচ বা লঙ্ঘন, যা একটি ‘আক্রমণ, পরিবর্তন, আক্রমণ, পরিবর্তন’ চক্রে পরিচালিত হয়। এই প্রবণতা অবশ্য ২০১৯ সাল থেকেই লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
আগের সাইবার হামলা থেকে শিক্ষা নিয়ে প্রায় অর্ধেক বা ৪৯ শতাংশ প্রতিষ্ঠান বলছে, তারা আগামী ছয় মাসের মধ্যে তাদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় পরিবর্তন আনবে। সেই সঙ্গে তারা তাদের প্রতিষ্ঠানের সাইবার নিরাপত্তায় আলোকপাত করে নিরাপত্তা বাড়াতে ব্যবস্থাপনা জোরদার করে পদক্ষেপ নেবে।