বিশ্ব দ্রুত চলমান। আমরা এমন কিছু খুঁজি যা আমাদের গতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে পারে। মানুষের ক্রমাগত উদ্ভাবন জীবনকে করেছে সহজ। জীবনকে সহজ করতে মানুষের নতুন উদ্ভাবন বুদ্ধিমান স্মার্টওয়াচ!
যাদের উদ্দেশ্য ওজন নিয়ন্ত্রণ করা, তারা ফিটনেস ট্র্যাকারের তথ্য দেখে খাদ্যাভ্যাস ও শরীরচর্চার অভ্যাসে রদবদল করতে পারেন। আজকাল এসব গ্যাজেটে স্লিপ মনিটর যুক্ত থাকে। ফলে আপনি কতটুকু সময় ঘুমে ব্যয় করেছেন তা ঠিকই জানতে পারবেন। কোনোদিন ঘুমের ব্যঘাত ঘটলে ঘড়িই স্মার্টওয়াচ দেবে আপনাকে।
স্মার্টওয়াচ-এর আরো পাঁচটি কাজ
১. স্মার্টওয়াচ আপনাকে জানিয়ে দেবে মিটিংয়ের সময়সূচী। তবে নিম্নমানের স্মার্টওয়াচে যে সেন্সর ব্যবহার করা হয়, তা নির্ভুল তথ্য না-ও দিতে পারে। তাই সতর্ক থাকা জরুরি।
২. ভালো স্মার্টওয়াচে হার্টরেট সেন্সর, ফিজিক্যাল অ্যাক্টিভিটি ট্র্যাকারসহ অনেক কিছুই যুক্ত আছে। ফলে আপনার হার্ট রেট, আপনি কতটুকু হেঁটেছেন, কতটুকু ওয়ার্ক আউট করেছেন, ক্যালরি কতটুকু ঝরিয়েছেন তার সব তথ্য আপনাকে জানাবে।
৩. স্মার্টফোনগুলো মোবাইল ফোনের সঙ্গে সংযুক্ত করে নেয়া যায়। এতে ফোনে আসা নোটিফিকেশন, কললিস্ট, মেসেজ, সামাজিক মাধ্যমের নোটিফিকেশন সব দেখতে পারবেন। আবার গান শোনার সময় গান বদলাতে হলেও স্মার্টওয়াচ দিয়েই করতে পারবেন সহজে। আপনার মোবাইল ফোনের ব্যবহার কিছুটা হলেও কমবে।
৪. স্মার্টওয়াচ হাতে থাকলে ঘন ঘন গুগল ম্যাপ দেখতে হবে না। বর্তমানে স্মার্টওয়াচ জিপিএস ট্র্যাকার থাকে। ফলে অচেনা পথ সহজেই চিনে নিতে পারবেন। সেজন্য স্মার্টওয়াচে সোয়াইপ আর টাচ করলেই হয়ে যাচ্ছে।
৫. হঠাৎ করেই ফোন খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। সেক্ষেত্রে স্মার্টওয়াচ কাজে আসে। ফোনের সঙ্গে স্মার্টওয়াচ সংযুক্ত থাকলে Find My Phone ফিচারের মাধ্যমে কয়েক সেকেন্ডেই খুঁজে পাবেন হারানো মোবাইল। এমনকি চুরি যাওয়া ফোনটির অনুসন্ধানও করতে পারবেন।