মোবাইল ফোনে কথা বলতে বলতে হঠাৎ কল কেটে গেলে গ্রাহকের যে টাকা গচ্চা যেতো তা এবার ক্ষতিপূরণসহ ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে বিটিআরসি। একই অপারেটরের দুটি মোবাইল নম্বরের মধ্যে প্রতিটি কলড্রপের জন্য ক্ষতিপূরণ পাবেন গ্রাহকরা।
বিটিআরসির সিস্টেম অ্যান্ড সার্ভিসেস বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাসিম পারভেজ জানান, অন নেট কলড্রপের ক্ষেত্রে গ্রাহকের আর্থিক এবং মানসিক ক্ষতি বিবেচনায় ক্ষতিপূরণ হিসাবে দৈনিক প্রথম ও দ্বিতীয় কল ড্রপের ক্ষেত্রে প্রতিটি কল ড্রপের জন্য তিনটি করে পালস (প্রতি কলড্রপের জন্য ৩০ সেকেন্ড) টকটাইম দিতে হবে। পরবর্তী ৩য় থেকে ৭ম কলড্রপের প্রতিটি কল ড্রপের জন্য ৪টি পালস বা ৪০ সেকেন্ড করে গ্রাহককে টকটাইম ফেরৎ দিতে হবে বলে জানান তিনি।
নাসিম পারভেজ বলেন, অন-নেট বা একই অপারেটরের ভয়েস কল ড্রপের ক্ষেত্রে নতুন সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে। অফ-নেট বা ভিন্ন অপারেটরের কলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া বা তার পদ্ধতি কী হবে, সেটা নিয়ে বিটিআরসি কাজ করছে বলে জানান তিনি।
কলড্রপের পরিমাণ জানা যাবে যেভাবে
বিটিআরসির তথ্য বলছে, গ্রাহকের যত কলড্রপ হতো তার ৬৫ শতাংশই হয় প্রথম কলড্রপ। এতে অধিকাংশ কলড্রপের ক্ষতিপূরণ পায় না গ্রাহক। বর্তমানে গ্রামীণফোন ও রবি তৃতীয় থেকে সপ্তম কলড্রপের ক্ষেত্রে প্রতি কলড্রপে এক মিনিট করে ফেরত দেয়। আর বাংলালিংক দেয় দ্বিতীয় থেকে ষষ্ঠ কলড্রপ পর্যন্ত।
নতুন নির্দেশনায়, কলড্রপ নিয়ে সব মোবাইল ফোন অপারেটরদের জন্য অভিন্ন ইউএসএসডি কোড *১২১*৭৬৫# চালু হয়েছে। এই নম্বরে ডায়াল করে একজন গ্রাহক জানতে পারবেন তার দৈনিক, সপ্তাহিক বা মাসিক অননেট কলড্রপের পরিমাণ।
ক্ষতিপূরণ আসবে যেভাবে
কলড্রপের ফলে পাওয়া কল মিনিট পরবর্তী দিনের প্রথম কল হতে ব্যবহারযোগ্য হবে। ফেরত পাওয়া মিনিট পুরোপুরি ব্যবহার শেষ হওয়ার আগে গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট হতে কোনো টাকা কাটা যাবে না। এছাড়া কলড্রপের জন্য ফেরত দেওয়া টকটাইমের বিষয়ে গ্রাহককে এসএমএস করে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জানাতে হবে।
অফনেট (এক অপারেটর থেকে অন্য অপারেটর) কলড্রপের ক্ষতিপূরণের বিষয়ে জানতে চাইলে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, অননেট (একই অপারেটর) কলড্রপের ক্ষতিপূরণও যেন গ্রাহক পেতে পারে সেজন্য কাজ করছে বিটিআরসি।