দক্ষিণ কোরিয়া-ভিত্তিক ব্র্যান্ড ‘হান ইজি লাইফ ইনকরপোরেশন’-এর সঙ্গে ব্যবসায়িক চুক্তি করেছে বাংলাদেশের শীর্ষ ইলেকট্রনিক্স ব্র্যান্ড ওয়ালটন। এই চুক্তির ফলে উভয় প্রতিষ্ঠান উদ্ভাবনী ডিজাইন ও প্রযুক্তির হোম ও স্মল হোম অ্যাপ্লায়েন্স ডেভেলপ এবং বাজারজাতে যৌথভাবে কাজ করবে। এর ফলে ওয়ালটন প্রোডাক্ট লাইনে নতুন উদ্ভাবনী পণ্য যুক্ত হবে। হান কোরিয়াতে ওয়ালটনের হোম ও স্মল অ্যাপ্লায়েন্স বাজারজাত করবে। ফলে ওয়ালটনের বৈশ্বিক বাজার সম্প্রসারণ কার্যক্রম আরো গতি পাবে।
পাশাপাশি ওয়ালটন ও হান পারস্পরিক সহযোগিতায় দ্বিতীয় প্রজম্মের ভ্যাকুয়াম ক্লিনার মডেল তৈরি করবে। মডেলটি ইতোমধ্যে ‘রেড ডট অ্যাওয়ার্ড- ২০২২’ অর্জন করেছে।
বুধবার (অক্টোবর ৪, ২০২২) রাজধানীতে ওয়ালটন করপোরেট অফিসে হান এবং ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি’র মধ্যে ব্যবসায়িক সমঝোতা চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়। হান ইজি লাইফ ইনকরপোরেশনের চেয়ারম্যান নাম সুখ কোহ এবং ওয়ালটন গ্লোবাল বিজনেস ডিভিশনের প্রেসিডেন্ট এডওয়ার্ড কিম নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
সে সময় আরো উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি’র ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিইও গোলাম মুর্শেদ, পরিচালক নিশাত তাসনিম শুচি, হানের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার কেএস চাং, ওয়ালটন হোম অ্যাপ্লায়েন্সের চিফ বিজনেস অফিসার (সিবিও) আল ইমরান, রেফ্রিজারেটরের সিবিও প্রকৌশলী আনিসুর রহমান মল্লিক, গ্লোবাল বিজনেস ডিভিশনের (জেবিডি) ভাইস-প্রেসিডেন্ট সাঈদ আল ইমরান প্রমূখ।
চুক্তি স্বাক্ষর শেষে হানের চেয়ারম্যান নাম সুখ কোহ তার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি’র অত্যাধুনিক উৎপাদন ইউনিট ও সুবিধা দেখে আমি খুবই উচ্ছ্বসিত ও বিস্মিত। বর্তমানে সবাই চীন থেকে বেরিয়ে আসার অন্যতম বিকল্প খুঁজছে। তাই বৈশ্বিক কনজ্যুমার ইলেকট্রনিক্স মার্কেটে ওয়ালটন ও বাংলাদেশের এখনই উন্নতির সময়।
ওয়ালটন হাই-টেকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিইও গোলাম মুর্শেদ বলেন, বৈশ্বিক বাজার সম্প্রসারণের লক্ষ্যে ওয়ালটন ইতোমধ্যে কোরিয়াতে একটি ডিজাইন ও ইনোভেশন সেন্টার স্থাপন করেছে। ওয়ালটন এখন নতুন নতুন উদ্ভাবনী পণ্য উৎপাদনের দিকে নজর দিচ্ছে। ২০২৩ সালে আমেরিকাতে অনুষ্ঠিতব্য সিইএস ফেয়ারে অংশ নিতে যাচ্ছে ওয়ালটন। ওই মেলায় নতুন নতুন উদ্ভাবনী পণ্য প্রদর্শন করা হবে।
ওয়ালটন জেবিডি’র প্রেসিডেন্ট এডওয়ার্ড কিম কনজ্যুমার ইলেকট্রনিক্স মার্কেটের বৈশ্বিক সুযোগের কথা তুলে ধরে বলেন, ডিজাইন ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে কোরিয়ান সহযোগিতায় ওয়ালটনের উৎপাদন সক্ষমতার আরো উন্নতি হবে এবং ওয়ালটনকে অন্যতম শীর্ষ গ্লোবাল ব্র্যান্ড হতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এই চুক্তির মাধ্যমে কোরিয়ান বাজারে প্রবেশ ওয়ালটন এবং বাংলাদেশের জন্য এক বিশাল মাইলফলক।