সত্যিই যদি এমন হতো, তবে মন্দ হতো না! মুঠোফোনের পাশে ডিম রেখে দিলেই সেটি সেদ্ধ হয়ে যেত; চুলা, আগুন, গ্যাস কিছুই লাগত না। মুঠোফোন থেকে নিঃসরিত তেজস্ক্রিয়তা নিয়ে নানা গালগপ্পো ও গুজব রয়েছে। বিশেষ করে মুঠোফোনের শুরুর দিনগুলোয় গুজবের মাত্রা ছিল ভয়ংকর। মুঠোফোনের পাশে রেখে ডিম সেদ্ধ করার বিষয়টিও তা–ই।
ডিম সেদ্ধর গুজব ডালপালা মেলে, যখন ইউটিউবে একটা ভিডিও ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওতে দেখানো হয়, মুঠোফোনের পাশে একটা ডিম রাখা। মুঠোফোনে দুবার কল আসার পর অর্থাৎ দুবার রিংটোন বাজার পরই ডিমটি সেদ্ধ হয়ে যায়। দুবার রিংটোন বাজলেই যদি একটি ডিম পুরো সেদ্ধ হয়ে যায়, তবে ব্যবহারকারীর মস্তিষ্কের কেমন ক্ষতি হতে পারে, তা বোঝানোই ছিল এই ভিডিওর উদ্দেশ্য।
পুরো ব্যাপারই একটি গুজব। আসল সত্যিটা হলো মুঠোফোন আণুবীক্ষণিক পরিমাণে তেজস্ক্রিয়তা নিঃসরণ করে, যা মানবদেহ বা মস্তিষ্ক তো দূরের কথা, কোনো কিছুর জন্যই ক্ষতিকর নয়। মুঠোফোন থেকে নিঃসরিত তেজস্ক্রিয়তা থেকে যদি ডিমের খোসাও সামান্য উষ্ণ করতে চান, তবে কয়টি মুঠোফোন লাগবে জানেন? সাত হাজার মুঠোফোন একসঙ্গে রেখে সেগুলোর পাশে একটা ডিম রাখলে তবেই ডিমটি উষ্ণ হয়ে উঠতে পারে; সেদ্ধ তো যোজন যোজন দূরের পথ। মোদ্দাকথা, মুঠোফোন দিয়ে ডিম সেদ্ধর ভিডিওটি পুরোই ভুয়া।