বর্তমানে ইন্টারনেটকে তুলনা করা হয়ে থাকে শ্বাস-প্রশ্বাসের সাথে। শ্বাস-প্রশ্বাস যেমন একটা মানুষকে টিকিয়ে রাখে, ইন্টারনেটও বর্তমানে গোটা দুনিয়াকে তেমনভাবে টিকিয়ে রেখেছে৷ মানুষের ব্যক্তিগত জীবন থেকে শুরু করে, বিশ্ব রাজনীতি! কোথায় নেই এই ইন্টারনেট!
ভেবে দেখুন, একদিনের জন্য পৃথীবিতে ইন্টারনেট বন্ধ হয়ে গেলে কি ঘটবে! ভাবতে সাহায্য করছি…
ব্যাংকিং সিস্টেম ধ্বসে পড়বে৷ পুরো বিশ্বের ৮০% আর্থিক লেনদেল এখন ইন্টারনেট ভিত্তিক৷ যদিও দুইটা একটা শাখা বা ব্রাঞ্চ রয়েছে যারা এখনো এই সেবার আওতায় আসেনি৷ অবশ্য ইন্টারনেট সেবা বন্ধ হয়ে গেলে তাদের জানারও কথা না যে, বিশ্বের পুরো ব্যাংকিং সিস্টেমটাই এখন অকেজো।
উৎপাদন ও বিপনন বন্ধ হয়ে যাবে৷ ইকমার্স সেক্টর পুরোপুরো থমকে দাঁড়াবে৷ ঘরে বসে, আরামে পায়ের ওপর পা তুলে কোনো কিছু অর্ডার করতে পারবেন না৷ বাইরে গিয়ে কিনে আনতে হবে আপনার নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য৷
সয়ংক্রীয় পদ্ধতিতে যতো ধরণের উৎপাদন কার্যক্রম চলতো – তার প্রায় সবই বন্ধ হয়ে যেতো৷
প্রচার মাধ্যমের ৫০% অকেজো হয়ে পড়তো৷ সৌভাগ্যের বিষয় এই যে বাকি ৫০% টিকে থাকতো৷ কেননা তারা এখনও সনাতন পদ্ধতিতে প্রচার কার্যক্রম চালু রেখেছে, যদিও তার জন্য পরোক্ষভাবে ইন্টারনেটের উপর নির্ভর করতে হয়৷
বিশ্ব অর্থিনীতির অনেক বড়োসড়ো ধ্বস নামবে৷ চিন্তা করে দেখুন,চলতি বছরেই ফেসবুক মাত্র ৬ ঘন্টার জন্য ডাউন হয়ে গিয়েছিলো বিধায়, স্টকের দাম হুহু করে কমতে শুরু করেছে৷ একবার ভাবুন, যদি তা ২৪ ঘন্টার জন্য হতো – তখন কি হতো?
এবং শুধু ফেসবুক না, ইন্টারনেট ভিত্তিক যেকোনো প্রতিষ্ঠান এক নিমেষে পথে বসে যেতো৷
যদিও, ফেসবুক-গুগলের ব্যবসা নিয়ে মাথা ঘামানোর সময় আমাদের নেই৷ কেননা ওগুলো ফ্রি ব্যবহার করতে দিলেই আমরা খুশী!
কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়া হলে,সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম আরো আগে-ভাগে ধ্বসে পড়বে।
পুরো বিশ্বের যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে পড়বে। কেননা এগুলো এখন পুরোটাই ইন্টারনেট নির্ভর।
তবে এর চেয়েও ভয়ের বিষয় হলো,মানুষ হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়বে। এবং বিপথগামী গোষ্ঠী মানুষের উপর আক্রম শুরু করে দেবে,কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার মতো উদ্দ্যোগ নিতে দেখা যাবে না৷
সব মিলিয়ে, গোটা পৃথীবি পঙ্গু হয়ে পড়বে৷