তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, ভুল তথ্য সমাজে অস্থিরতা বয়ে আনে। আর সংবাদমাধ্যমের ভুল তথ্য সেটি বাড়িয়ে দিয়ে নানান অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটিয়ে ফেলে। তাই সাংবাদিকতায় ফ্যাক্ট চেক এখন অতি গুরুত্বপূর্ণ।
রোববার (৩০ অক্টোবর) প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি)-এর আয়োজনে টেকনোলজি মিডিয়া গিল্ড বাংলাদেশ (টিএমজিবি)-এর সদস্যদের জন্য ‘সাংবাদিকতায় ফ্যাক্টচেক বিষয়ক প্রশিক্ষণ’ কর্মশালার সমাপনীতে এ কথা বলেন জুনাইদ আহমেদ পলক।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, টিএমজির নেতৃত্ব বহুমুখী। ২০৪১ সাল নাগাদ স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে টিএমজিবির সদস্যরা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।
নির্বাচন আসলেই গুজব ছড়িয়ে ম্যানুপুলেট করা হচ্ছে। সেটা শুধু বাংলাদেশ নয়, ব্রিটেন, ইউএসএসহ বিভিন্ন দেশে সেটি হচ্ছে। ফলে আজকের যে কর্মশালা সেটি খুব গুরুত্বপূর্ণ বলেও মনে করেন পলক।
এর আগে পিআইবির আয়োজনে গত ২৮ অক্টোবর থেকে তিন দিনের কর্মশালাটি শুরু হয়। কর্মশালায় টিএমজিবির ৩০ জন সদস্য অংশ নেন।
সমাপনী অনুষ্ঠানে সভাপ্রধান ছিলেন পিআইবির মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন টেকনোলজি মিডিয়া গিল্ড বাংলাদেশ (টিএমজিবি)-এর সভাপতি মোহাম্মদ কাওছার উদ্দীন ও সাধারণ সম্পাদক মুরসালিন হক জুনায়েদ।
সভাপ্রধানের বক্তব্যে পিআইবি মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ বলেন, স্বাধীনতার পর থেকেই দেশে গুজব ছড়ানোর কাজ হয়ে আসছে। ২০১৮ সালে সরকার গুজব প্রতিরোধে একটি সেল গঠন করে। আসলে তথ্যপ্রযুক্তির সঙ্গে সঙ্গে গুজবও বিকাশ হচ্ছে। তাই সাংবাদিকদের জন্য গুজব প্রতিরোধ করা কঠিন। আমাদের বিষয়টি নিয়ে কঠোরভাবে কাজ করতে হবে।
তিনি বলেন, এখন গুজবের মাত্রা বাড়ছে। বিশেষ করে রাজনৈতিকভাবে এটি বাড়ছে। সম্প্রতি আমরা দেখেছি গুজবের মাত্রাটা এতটাই যে, টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমার ছবি দিয়ে একটি রাজনৈতিক দল দাবি করেছে তাদের সমাবেশের ছবি সেটি। তাই আমাদের উচিত হবে এসব গুজব প্রতিরোধে সাংবাদিকদের কাজ করা।
কর্মশালার তিন দিনে ফ্যাক্টচেক নিয়ে বিভিন্ন বক্তব্য উপস্থাপন, পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন, অভিমত গ্রহণ, মক সেশন পরিচালনা ও মুক্ত আলোচনা হয়। পিআইবির সহকারী প্রশিক্ষক নাসিমূল আহসানের সমন্বয়ে এতে প্রশিক্ষক হিসেবে ছিলেন এএফপি ফ্যাক্টচেকের বাংলাদেশ সম্পাদক কদরুদ্দীন শিশির, র্যাবের সাবেক সোশ্যাল মিডিয়া কনসালটেন্ট ইমরান সাগর ও আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক প্রশিক্ষক সাহস মোস্তাফিজ।
ফ্যাক্টচেক নিয়ে প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্য ছিল সাংবাদিকদের মধ্যে মৌলিক ধারণা তৈরি ও ভুল তথ্য রোধ করা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে ভুল তথ্য, ভুয়া ছবি-ভিডিও সহজে যাচাই করা, যাতে ভুল তথ্য ছড়ানো কমিয়ে আনা যায়।