ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ ই-ক্যাবের কার্যকরি কমিটিতে হঠাৎ করেই দুই পরিচালক যুক্ত হয়েছে। কমিটির আগের নয়টি পদে নির্বাচন থেকে সদস্যরা তাদের পরিচালক বাছাই করে নিলেও নতুন দুই পরিচালকের ক্ষেত্রে এমন সুযোগ ছিল না।
চলতি বছরের ২০ জুন ই-ক্যাবের নয়টি পদে কার্যনির্বাহী পরিষদ নির্বাচন-২০২২ অনুষ্ঠিত হয়। সেই নির্বাচনে পরিচালক হিসেবে নির্বাচিত হন শমী কায়সার, আব্দুল ওয়াহেদ তমাল, সৈয়দা আম্বারিন রেজা, শাহরিয়ার হাসান, সাইদ রহমান, ইলমুক হক, নাসিমা আক্তার নিশা, সাহাব উদ্দিন শিপন এবং আসিফ আহনাফ।
পরবর্তীতে শমী কায়সারকে সভাপতি এবং আব্দুল ওয়াহেদ তমালকে সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা দিয়ে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি গঠনের পর গঠনতন্ত্রে পরিবর্তন এনে নতুন দুইটি পদ সৃষ্টি করে ই-ক্যাব এর নির্বাহী কমিটি।
গত শনিবার (২৯ অক্টোবর) রাজধানীর একটি কনভেনশন হলে বর্তমান কমিটির বিভিন্ন স্ট্যান্ডিং কমিটি গঠন করে সদস্যদের জন্য এক কর্মশালার আয়োজন করা হয়। এই অনুষ্ঠানেই দুই পরিচালকা হিসেবে হাংরিনাকি এর প্রধান নির্বাহী খন্দকার তাসফিন আলম এবং লাইট স্পিড সোর্স এর স্বত্ত্বাধিকারী অর্নব মোস্তফার নাম ঘোষণা করা হয়।
আর এখানেই আপত্তি তুলছেন সাধারণ সদস্যরা। পাশাপাশি বিভিন্ন স্ট্যান্ডিং কমিটিতে চেয়ারম্যানসহ অন্যান্য পদে সদস্যদের নিয়োগের স্বচ্ছতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তারা।
ই-ক্যাবের আরেক সদস্য এবং দেশের উচ্চ আদালতের আইনজীবী খন্দকার হাসান শাহরিয়ার বলেন, যে কমিটিতে ৯ জন সদস্য নির্বাচিত হয়ে আসেন, সেই কমিটিতেই দুই জন সদস্য অনির্বাচিত। আইনগত দিক বাদ দিলেও, নৈতিকভাবে বিষয়টি ঠিক না। অথচ জুনের নির্বাচনে আরও প্রার্থী ছিলেন যারা সদস্যদের ভোট পেয়েছিলেন, যাদের প্রতি সদস্যদের আস্থা ছিল। যদি নতুন দুইজন পরিচালক নিয়োগ দিতেই হতো, তাহলে সেই নির্বাচিত দশম এবং একাদশ পদে যারা বিজয়ী হয়েছিলেন, অর্থ্যাত যারা ভোট পাওয়ার শীর্ষ তালিকায় দশম এবং একাদশ হয়েছিলেন তাদেরকে নিয়োগ দিতে পারতো। এখন যারা পরিচালক হয়েছেন তারা সদস্যদের ভোট তো দূরে থাক, নির্বাচনের প্রার্থীও ছিলেন না।
এবিষয়ে জুনের নির্বাচনে একাদশ তম অবস্থান অর্জন করা যাচাই যাচাই ডট কম লিমিটেডের আব্দুল আজিজ বলেন, দশম এবং একাদশ পদে আমরা যারা নির্বাচিত হয়েছি তাদেরকে নতুন পরিচালক হওয়ার প্রস্তাব করা যেতো। আমরা কেউ অপারগ হলে পরে যারা ছিলেন তাদেরকে প্রস্তাব করা যেতো। অথবা নতুন দুইজন পরিচালক বাছাই এর জন্য সাধারণ সভার আয়োজন করে সেখানে সিদ্ধান্ত নেওয়া যেতো। তেমন কিছু না করে হঠাত করেই অন্য আরেকটি অনুষ্ঠানে তাদের নাম ঘোষণা করা হলো। দুটোর কোন একটি পন্থা অবলম্বন করা যেতো। বিষয়টি খুবই হতাশার এবং সংগঠনের জন্য নেতিবাচক ও ক্ষতিকর।
অপরদিকে সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াহেদ তমালের বিরুদ্ধে নৈতিক অধস্থলনের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ উঠেছে, সংগঠনের আরেক নারী সদস্যের সাথে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক স্থাপন এবং আর্থিক অনিয়মে জড়িত হয়েছেন তমাল।
ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ ই-ক্যাবের কাছে ই-মেইলে তমালের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন ঐ নারী সদস্য; যার একটি কপি টেকজুমের’র কাছে এসেছে।