দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকা ভাইন অ্যাপ পুনরায় চালুর উদ্যোগ নিয়েছেন টুইটারের নতুন প্রধান নির্বাহী ইলোন মাস্ক। ২০১৬ সালে অ্যাপটি বন্ধ করেছিল মাইক্রোব্লগিংয়ের প্লাটফর্মটি। প্রযুক্তি বিশ্লেষক প্রতিষ্ঠান অ্যাক্সোয়িস জানায়, চলতি বছর শেষের আগেই পুনরায় অ্যাপটি চালুর জন্য একদল প্রকৌশলীকে নির্দেশ দিয়েছেন মাস্ক। খবর সিএনবিসি।
ভাইন অ্যাপ একটি শর্টভিডিও প্লাটফর্ম, যেখানে একজন ব্যবহারকারী ৬ সেকেন্ডের ভিডিও প্রকাশ করতে পারে। টুইটার অ্যাপটিকে ২০১২ সালে নিজেদের করে নিলেও চার বছর পর ২০১৬ সালে বন্ধ করে দেয়।
সংবাদমাধ্যম দ্য ভার্জের ডেপুটি এডিটর অ্যালেক্স হিথ বলেন, যদিও আমি বিষয়টি শুনেছি, তবে এ সময়ে ভাইন অ্যাপটি পুনরায় চালু করা হবে কিনা তা স্পষ্ট নয়। মাস্কের এখন অনেক লোক আছে যারা তাকে মূল প্রতিষ্ঠান টুইটার যথাযথভাবে গুছিয়ে নেয়ার পরামর্শ দেবে। এসব ভাবনার অবশ্য কিছু কারণ আছে। ভাবনার খোরাক জুগিয়েছেন মাস্ক নিজেই। যাতে এ বিষয়ে স্পষ্ট ধারণা পাওয়ার মাধ্যমে ভাইন অ্যাপ ফিরিয়ে আনা যায়।
সম্প্রতি তিনি তার ১১ কোটি ২০ লাখ টুইটার অনুসারীকে নিয়ে একটি জরিপ করেছেন। জরিপে তিনি জানতে চেয়েছেন, ব্রিং ব্যাক ভাইন? ভাইন অ্যাপটি কি ফিরিয়ে আনা প্রয়োজন? টুইটে মাস্কের চালানো জরিপে ৪৯ লাখ ২০ হাজার ১৫৫ জন ব্যবহারকারী অংশগ্রহণ করে। তাদের মধ্যে ৬৯ দশমিক ৬ শতাংশ অংশগ্রহণকারী অ্যাপটি ফিরিয়ে আনার পক্ষে সমর্থন জানিয়েছে।
অন্যদিকে টুইটারকে কীভাবে টিকটকের চেয়ে আরো ভালো করা যায় এমন প্রশ্নের জবাবে মিস্টারবিস্ট বলেন, ভাইন যদি টিকটকের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নামে তবে তা হবে হাস্যকর। তবে টুইটার নিয়ে ইলোন মাস্কের পরিকল্পনা সুদূরপ্রসারী বলেই মনে হচ্ছে। টুইটারের ভিডিও প্লাটফর্মের অ্যাপটি ফিরিয়ে আনা হলে চীনের উইচ্যাটের মতো টুইটারও একটি সুপার অ্যাপে পরিণত হবে বলেই মনে করছেন সদ্য দায়িত্ব নেয়া টেসলা প্রধান ও অন্যতম ধনী মাস্ক