ইমো একাউন্ট হ্যাকিং ও প্রতারণা করার অভিযোগে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকার গোয়েন্দা পুলিশ। এই চক্রটি এভাবে প্রবাসীদের কাছ থেকে ৫০ লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে পুলিশের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। ফেসবুক একাউন্টের মতো ইমো ব্যবহার করে প্রতারণার ঘটনা এবারই প্রথম নয়। এর আগেই বিভিন্ন সময় বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা থেকে এরকম প্রতারক চক্রের সদস্যদের গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। বিশেষ করে প্রবাসী এবং তাদের স্বজনরাই এই চক্রের শিকার হয়ে থাকে।
কিন্তু কিভাবে ইমো ব্যবহার করে প্রতারণা করা হয়? প্রবাসীরাই বা কেন বিশেষ ভাবে টার্গেট বা লক্ষ্যে পরিণত হন?
প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অন্যসব সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম বা মেসেঞ্জিং অ্যাপের তুলনায় ইমোতে কম ব্যান্ডউইথ লাগে। সেই সঙ্গে এই অ্যাপটি একাধিক ডিভাইসে ব্যবহার করা যায়।
প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হোয়াটসঅ্যাপ বা সিগন্যালের তুলনায় ইমো এর বেশ কিছু দুর্বলতা রয়েছে।
অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার সাইফুর রহমান,’’ইমোর সবচেয়ে বড় দুর্বলতা হলো, এটি একই সঙ্গে অনেকগুলো ডিভাইসে ব্যবহার করা যায়। ফলে হ্যাকাররা কাউকে টার্গেট করলে, কৌশলে ওটিপি নিয়ে নিজেদের কোন ডিভাইসে ইমোর অ্যাকাউন্ট খুলে ফেলতে পারে।‘’
তিনি জানান, যারা ইমো ব্যবহার করে, তারা এর সহজে ব্যবহারের দিকটার জন্যই পছন্দ করেন, কিন্তু ডিজিটাল নিরাপত্তার দিকে ততোটা গুরুত্বের সঙ্গে ভাবেন না।
ইমো লগইন করতে গিয়ে টার্গেট ব্যক্তির কাছে ওটিপি চলে যায়। নানাভাবে ফুসলিয়ে সেই কোডটি নিয়ে নেয় প্রতারক চক্র। এভাবে তারা ইমো একাউন্টের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়।
যখনি ডিভাইসে ইমোর অ্যাকাউন্ট খোলা হয়, তখন তার সঙ্গে সংযুক্ত অসংখ্য মোবাইল নম্বরও দেখাতে শুরু করে ইমো। সেখান থেকে আত্মীয়-স্বজনের নাম্বারও জোগাড় করে হ্যাকার চক্র।
আবার নতুন ডিভাইসে ইমো চালু করার সঙ্গে সঙ্গে সেটির পুরনো সব তথ্য, চ্যাট হিস্ট্রিও চলে আসে। ফলে সেখান থেকে অনেক সময় স্পর্শকাতর তথ্য হ্যাকারদের কাছে চলে যায়। সেগুলো দিয়ে পরবর্তীতে ওই ব্যক্তি বা তার স্ত্রী, স্বজনদের ব্ল্যাকমেইলিং করা হয়।