“চারটি স্তম্ভের ভিত্তিতে আমরা সফলভাবে আমাদের ডিজিটাল বাংলাদেশের লক্ষ্য ও কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছি এবং ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ ভিশন অর্জনে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। আমাদের উদ্ভাবকরা স্মার্ট বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ। স্মার্ট বাংলাদেশ লক্ষ্য অর্জনে তরুণসহ সকলের সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমে দুই দেশের সুযোগগুলোকে কাজে লাগিয়ে উন্নত আগামীর পথে এগিয়ে যাক আমাদের নতুন প্রজন্ম। আমরা চাই কোরিয়ার সাথে আমাদের সম্পর্ক আরো শক্তিশালী হোক এবং বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরো দৃঢ় হোক।” – তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক আজ রাজধানীর হোটেল ইন্টার কন্টিনেন্টাল ঢাকাতে অনুষ্ঠিত কোইকা বাংলাদেশ এলামনাই নাইট অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী পলক বাংলাদেশের আইসিটি খাতের উন্নয়নে কোরিয়া কর্তৃক গৃহীত বিভিন্ন কার্যক্রমের প্রতিচ্ছবি তার বক্তব্যে তুলে ধরেন। তিনি বলেন বাংলাদেশ কোরিয়া একসাথে কাজ করার বেশ সুযোগ রয়েছে। এক্ষেত্রে KOICA বাংলাদেশ বিশেষ ভূমিকা রাখছে।
অনুষ্ঠানের সম্মানিত অতিথি হিসেবে বাংলাদেশে নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি জ্যাং-কিউন উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন বাংলাদেশ এবং কোরিয়ার মধ্যে একটি সুন্দর সম্পর্ক বিদ্যমান। দুই দেশের মধ্যে একসঙ্গে কাজ করার বেশ সুযোগ ও সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি KOICA এবং সরকারের বিভিন্ন কর্মকর্তার সাথে চলমান বিভিন্ন প্রকল্পে সম্প্রতি ভ্রমণের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন। তিনি কোরিয়া এর শিল্প, বাণিজ্য এবং অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বিষয়ে আলোকপাত করেন। সবশেষে তিনি বলেন যে বাংলাদেশের কোরিয়ার সাথে অর্থনৈতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে সেরা ট্রেনিং ইকোনমিক পার্টনার হিসেবে স্থান করে নেওয়ার সক্ষমতা রয়েছে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ শাহরিয়ার কাদের সিদ্দিকী। অনুষ্ঠানে সমাপনী বক্তব্য রাখেন পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য (সচিব) মোসাম্মৎ নাসিমা বেগম। কোইকা বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর মিস ইউংআ দো উক্ত অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন।
এছাড়া, উক্ত আয়োজনে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাগণ ও অন্যান্য অতিথিগণ উপস্থিত ছিলেন।