প্রতিটি বিশ্বকাপই বিতর্কমুক্ত হোক, এটাই চায় ফিফা৷ সেজন্য প্রযুক্তির দারস্থ হয় তারা। গত দুই আসরেও নতুন প্রযুক্তির সাথে পরিচয় হয়েছে ফুটবলবিশ্ব। এবারও তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না। অফসাইডের ভুলকে শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনতে এই প্রথম কাতার বিশ্বকাপে থাকছে সেমি অটোমেটেড অফসাইড প্রযুক্তি।
ব্রাজিলে আয়োজিত ২০১৪ বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো ব্যবহৃত হয়েছিল গোললাইন প্রযুক্তি। এরপর রাশিয়ায় অনুষ্ঠেয় ২০১৮ বিশ্বকাপে প্রথমবার ভিডিও অ্যাসিস্টেন্ট রেফারি ব্যবহার করা হয়। গোললাইন, ভিএআর তো থাকছেই কাতার বিশ্বকাপে, সঙ্গে সেমি অটোমেটেড অফসাইড প্রযুক্তিও যোগ হচ্ছে। মূলত অপটিক্যাল ট্র্যাকিং পদ্ধতি ব্যবহারের মাধ্যমে সেমি অটোমেটেড প্রযুক্তিতে অফসাইডের বাঁশি বাজাবেন রেফারিরা।
ইনফ্রারেড মার্কারের মাধ্যমে মাঠের বিশেষ ক্যামেরাগুলো দিয়ে এ প্রযুক্তিতে ফুটবলার এবং বলের সঠিক অবস্থান জানা যাবে। মাঠে অবস্থানকারী প্রতিটি ফুটবলারের শরীরে ২৯টি জায়গা চিহ্নিত করে খেলোয়াড়েদের ত্রিমাত্রিক অবয়ব তৈরি করে রেফারিদের কাছে সেকেন্ডের মধ্যে সুনির্দিষ্ট তথ্য সরবরাহ করবে সেমি অটোমেটেড অফসাইড প্রযুক্তি।
ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো বলেছেন, বিশ্বব্যাপী যে ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়, তারই উন্নততর সংস্করণ হলোসেমি অটোমেটেড অফসাইড প্রযুক্তি। তিন বছরের গবেষণা ও বিভিন্ন পরীক্ষার পর এই প্রযুক্তি চালু হচ্ছে।
কাতারে এবার ইতিহাসের সবচেয়ে ব্যয়বহুল বিশ্বকাপ হতে যাচ্ছে। খরচ হচ্ছে ২২০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। অতীতের কোনো আয়োজন যার ধারেকাছেও নেই। সবশেষ রাশিয়া বিশ্বকাপে খরচ হয়েছিল ১৪ বিলিয়ন ডলার। ভিন্ন এক ফুটবল বিশ্বকাপ দেখবে বিশ্ব। তৈরি করা হয়েছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির নতুন ৮টি স্টেডিয়াম। এতে ব্যয় হয়েছে বিপুল পরিমান অর্থ।