উড়োজাহাজে থাকা অবস্থায় সাধারণ নির্দেশনা থাকে মোবাইল ফোন ব্যবহার না করার। ফলে স্মার্ট ডিভাইস রাখতে হয় এয়ারপ্লেন মুডে। তবে অদূর ভবিষ্যতে এমন সীমাবদ্ধতা আর থাকছে না। উড়োজাহাজে চড়ার সময় মোবাইল ফোন ব্যবহারের সুযোগ দিতে যাচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। ফলে মাঝ আকাশে থেকেও ফোন কল এবং ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবেন যাত্রীরা।
২০২৩ সালের জুনের মধ্যে সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে নিজ নিজ দেশে ফাইভ-জি প্রযুক্তির মোবাইল নেটওয়ার্ক চালুর বাধ্যবাধকতা রয়েছে। আজ শনিবার ইইউ’র বরাত দিয়ে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিতে প্রকাশিত এক সংবাদে এমনটাই জানানো হয়।
এতে বলা হয়, চলন্ত উড়োজাহাজে যাত্রীদের ফাইভ-জি নেটওয়ার্ক এবং ধীরগতির মোবাইল ডেটা দিতে এয়ারলাইনগুলোকে নির্দেশনা দিয়েছে ইইউ। এর অর্থ হচ্ছে, উড়োজাহাজে চড়ার সময় স্মার্ট ডিভাইসে আর এয়ারপ্লেন মুড চালু করতে হবে না যাত্রীদের।
পাশাপাশি যাত্রীরা মোবাইল ফোনকলের পাশাপাশি মিউজিক শোনা এবং ভিডিও দেখার মতো অ্যাপ ব্যবহার করতে পারবেন।
২০০৮ সাল থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন বিমানে ভিন্ন ফ্রিকোয়েন্সি ব্যবহার করে আসছে। ফলে স্মার্ট ডিভাইসের ফ্রিকোয়েন্সি উড়োজাহাজকে প্রভাবিত করে না।
তবে কবে নাগাদ এই নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে হবে সে বিষয়ে এখনো কিছু বলেনি ইউরোপীয় কমিশন। কিন্তু ২০২৩ সালের জুনের মধ্যে সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে নিজ নিজ দেশে ফাইভ-জি প্রযুক্তির মোবাইল নেটওয়ার্ক চালুর বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
এ বিষয়ে ইন্টারনেট মার্কেট সম্পর্কিত ইউরোপীয় ইউনিয়নের কমিশনার থিয়েরি ব্রিটন বলেন, খুবই দ্রুত এবং উচ্চ গতিসম্পন্ন যোগাযোগ ব্যবস্থার প্রসঙ্গ যখন আসবে তখন আর আকাশ কোনো সীমাবদ্ধতা হতে পারবে না। ফলে মানুষরা সৃজনশীল সেবা পাবে আর ইউরোপিয়ান প্রতিষ্ঠানগুলো বড় হবে।
২০০৮ সাল থেকেই উড়োজাহাজ আকাশে থাকা অবস্থায় যাত্রীদের সীমিত পরিসরে ইন্টারনেট সেবা দিয়ে আসছে। যদিও যাত্রীদের উড়োজাহাজে থাকা অবস্থায় মোবাইল এয়ারপ্লেন মুডে রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়। কারণ মোবাইলের ফ্রিকোয়েন্সি উড়োজাহাজের অটোমেটিক পাইলট সিস্টেমকে প্রভাবিত করতে পারে। তবে সম্প্রতি ইউরোপীয় ইউনিয়ন বিমানে ভিন্ন ফ্রিকোয়েন্সি ব্যবহার করতে শুরু করেছে। এতে স্মার্ট ডিভাইসের ফ্রিকোয়েন্সি উড়োজাহাজকে প্রভাবিত করে না।