গাজীপুরের মৌচাকে ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে ১ লাখ টাকা ক্যাশব্যাক পেলেন এক ক্রেতা। ক্রেতার নাম উজ্জ্বল সিকদার। ওয়ালটন ডিজিটাল ক্যাম্পেইন ১৬ এর আওতায় ফ্রিজ কিনে স্ক্র্যাচ কার্ডে ক্যাশব্যাক পান তিনি। বাবা-মায়ের জন্য মাত্র ২২ হাজার টাকা দিয়ে ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে এক লাখ টাকা ক্যাশব্যাক পাওয়ায় মহাখুশি উজ্জ্বল সিকদার।
উল্লেখ্য, অনলাইন অটোমেশনের মাধ্যমে গ্রাহকদের আরও দ্রুত ও সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা দিতে সারা দেশে চলছে ওয়ালটনের ডিজিটাল ক্যাম্পেইনের সিজন-১৬। এই সিজনে ক্রেতাদের জন্য রয়েছে ‘স্বস্তির অফার’ শীর্ষক বিশেষ সুবিধা। এর আওতায় দেশের যেকোনো ওয়ালটন প্লাজা, পরিবেশক শোরুম কিংবা অনলাইনের ই-প্লাজা থেকে ফ্রিজ এবং ওয়াশিং মেশিন ক্রয়ে স্ক্র্যাচ কার্ডে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত ক্যাশব্যাক পেতে পারেন। রয়েছে অসংখ্য পণ্য ফ্রি পাওয়ার সুযোগ।
রোববার (১১ ডিসেম্বর, ২০২২) গাজীপুরের মৌচাকে ওয়ালটন পরিবেশক ‘রাকিব ইলেকট্রনিক্স’-এ ক্যাশব্যাক হস্তান্তর অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে ক্রেতা উজ্জ্বল সিকদারের হাতে ১ লাখ টাকার চেক তুলে দেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি.’র ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. হুমায়ুন কবীর এবং সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর জনপ্রিয় চিত্রনায়ক আমিন খান।
সে সময় উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর মো. আরিফুল আম্বিয়া, মৌচাক বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মোঃ মাসুদ পারভেজ, ওয়ালটনের গাজীপুর জোনের আরএসএম শাহেদ ইকবাল, ‘রাকিব ইলেকট্রনিক্স’-এর স্বত্ত্বাধিকারী মোঃ সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।
ক্রেতা উজ্জ্বল সিকদার পেশায় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। স্ত্রী ও এক মেয়েকে নিয়ে চন্দ্রার ডাইনকিনিতে থাকেন। গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইলের মির্জাপুর। সেখানে বসবাসরত বাবা-মা’র ব্যবহারের জন্য সম্প্রতি রাকিব ইলেকট্রনিক্স থেকে ২২ হাজার টাকায় ওয়ালটনের ফ্রিজটি কেনেন তিনি। এরপর তার নাম, মোবাইল নাম্বার ও ফ্রিজের মডেল, বারকোড ইত্যাদি তথ্য ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশনে যুক্ত করা হয়। সেইসঙ্গে তাকে একটি স্ক্র্যাচকার্ড দেয়া হয়।
উজ্জ্বল সিকদার বলেন, স্ক্র্যাচ কার্ডে ১ লাখ টাকা ক্যাশব্যাক দেখে আমি যেন আকাশ থেকে পড়েছি। আমার ধারণা ছিলো- কোম্পানিগুলো বিভিন্ন অফার দিলেও ক্রেতারা হয়তো পায় না। কিন্তু ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে ১ লাখ টাকা পেয়ে আমার সেই ধারণা পাল্টে গেছে। ক্রেতাদেরকে দেয়া প্রতিশ্রুতি শতভাগ রক্ষা করায় এবং তাদের জন্য এমন সুযোগ দেয়ায় ওয়ালটন কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ।
জানা গেছে, ডিজিটাল ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন পদ্ধতিতে ক্রেতার নাম, মোবাইল নম্বর এবং বিক্রি করা পণ্যের মডেল নম্বরসহ বিস্তারিত তথ্য ওয়ালটন সার্ভারে সংরক্ষণ করা হচ্ছে। ফলে ওয়ারেন্টি কার্ড হারিয়ে গেলেও দেশের যেকোনো ওয়ালটন সার্ভিস সেন্টার থেকে দ্রুত সেবা পাচ্ছেন গ্রাহক। অন্যদিকে সার্ভিস সেন্টারের প্রতিনিধিরাও গ্রাহকের ফিডব্যাক জানতে পারছেন। এ কার্যক্রমে ক্রেতাদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে উদ্বুদ্ধ করতে ক্যাম্পেইনের আওতায় নানা সুবিধা দেওয়া হচ্ছে।