২০২৩ সালের মাঝামাঝিতে ভিয়েতনামে ম্যাকবুক উৎপাদনের ঘোষণা দিয়েছে অ্যাপল। সরবরাহ চেইনকে আরো বৈচিত্র্যময় ও চীনা নির্ভরতা কমানোয় চলমান প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে এ ঘোষণা মার্কিন প্রযুক্তি জায়ান্টটির। ওয়াশিংটন ও বেইজিংয়ের মধ্যে প্রযুক্তিসংক্রান্ত উত্তেজনা বাড়ায় প্রযুক্তি জায়ান্টটি চীনের বাইরে উৎপাদন কেন্দ্র বৃদ্ধিতে মনোযোগ দিচ্ছে।
নিক্কেই এশিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অ্যাপল তার শীর্ষ সরবরাহকারী, তাইওয়ানভিত্তিক নির্মাতাপ্রতিষ্ঠান ফক্সকনকে আগামী বছরের মে মাসের মধ্যে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অংশের জন্য ম্যাকবুক উৎপাদন করার দায়িত্ব দিয়েছে। ম্যাকবুকের উৎপাদন কেন্দ্র পরিবর্তনের পর অ্যাপলের সব ফ্ল্যাগশিপ পণ্য উৎপাদনের জন্য চীনের বাইরে আরো একটি কেন্দ্র থাকবে। বিষয়টির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এক সূত্র জানিয়েছে, ভারতে আইফোন ও ম্যাকবুক, ভিয়েতনামে অ্যাপল ওয়াচ ও আইপ্যাড উৎপাদন কেন্দ্র গড়ে উঠবে।
বর্তমানে অ্যাপল চীনের সিচুয়ান প্রদেশের চেংদু ও সাংহাই অঞ্চলের কেন্দ্রগুলোসহ প্রতি বছর ২ কোটি ৪০ লাখ ম্যাকবুক তৈরি করে। তবে প্রযুক্তি জায়ান্টটি দুই বছর ধরে ভিয়েতনামে ম্যাকবুক উৎপাদন কেন্দ্র স্থানান্তর করার পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করেছে।
ম্যাকবুক উৎপাদন কেন্দ্র হাতছাড়া হয়ে যাওয়ার ঘটনা বিশ্বের বৃহত্তম কারখানা চীনের অবস্থানের দুর্বলতার প্রতীক। অ্যাপল, এইচপি, ডেল থেকে শুরু করে গুগল ও মেটা পর্যন্ত শীর্ষস্থানীয় ইলেকট্রনিকস নির্মাতারা উৎপাদন ও সরবরাহ কেন্দ্র চীন থেকে অন্যত্র সরিয়ে নেয়ার পরিকল্পনা করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সময়ে বেইজিং-ওয়াশিংটনের বাণিজ্যযুদ্ধ শুরুর পরই যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক জায়ান্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর এমন মনোভাব স্পষ্ট হয়েছে। নিক্কেই এশিয়ার জরিপে দেখা গিয়েছে, ২০১৮ সালে ভিয়েতনামে যেখানে ১৪টি কারখানা ছিল, সেখানে বর্তমানে অ্যাপলের সরবরাহকারীদের কারখানা ২২টি ছাড়িয়েছে। চীননির্ভরতা কমাতে ভিয়েতনামে কারখানা চালু করেছে গুগল, ডেল ও অ্যামাজনের মতো প্রযুক্তি জায়ান্ট।