সরকারবিরোধী অবস্থান ও আন্দোলনের কারণে ইরানে সেপ্টেম্বর থেকে ইন্টারনেট ব্যবহার বন্ধ রয়েছে। এতে দেশটিতে ডিজিটাল মাধ্যমে যোগাযোগ উল্লেখযোগ্যভাবে ব্যাহত হচ্ছে। এ কারণে দেশটির অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এবং অনেক ঘটনার তথ্যপ্রমাণ আড়ালে থেকে যাচ্ছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। খবর টেকটাইমস।
গত ১৩ সেপ্টেম্বর ২২ বছর বয়সী মাহসা আমিনিকে গ্রেফতার করে তেহরানের মোরালিটি পুলিশ। সেখানেই এ কুর্দি তরুণীর মৃত্যু হয়। মোরালিটি পুলিশ মূলত নারীদের পোশাক পরিধানের বিষয়ে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করে। আমিনির মৃত্যুর ঘটনায় ইরানজুড়ে বিক্ষোভ ও আন্দোলন শুরু হয়।
বিবিসি প্রকাশিত প্রতিবেদনের তথ্যানুযায়ী, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেশটির অধিবাসীরা অধিকাংশ ক্যাম্পেইন ও আন্দোলনের প্রচারণা চালায়। নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ করতে না পারলে সমবেত হওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুযায়ী, আন্দোলন দমনে ইরান সরকার যে পদক্ষেপ নিয়েছে সেটি ধীরে ধীরে অর্থনীতির ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে শুরু করেছে।
ওয়্যারডের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইরান এরই মধ্যে বিশ্ব থেকে অনেকটাই বিচ্ছিন্ন ও নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্ত দেশ। কিন্তু তার পরও দেশটির সরকার ইন্টারনেট ব্যবহারে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে, যার মধ্যে ২০১৭ ও ২০১৯ সালে গৃহীত পদক্ষেপ বেশি। এ ধরনের পদক্ষেপের কারণে ইরানের আট কোটি অধিবাসীর অধিকার ক্ষুণ্ন হয়েছে এবং বাণিজ্যসহ দেশটির বিভিন্ন খাতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।
ইরানের জন্য সানফ্রান্সিসকো ভিত্তিক মানবাধিকার ও নাগরিক স্বাধীনতা গ্রুপ ইউনাইটেডের কৌশলগত উপদেষ্টা রেজা গাজিনৌরির মতে, নিষেধাজ্ঞার কারণে সাম্প্রতিক সময়ে কয়েক লাখ ইরানিয়ান দারিদ্র্যসীমার নিচে চলে এসেছে। দেশটির ৬৪ শতাংশ ব্যবসায়িক কার্যক্রম নারীরা ইনস্টাগ্রামের মাধ্যমে পরিচালনা করে। ইন্টারনেটের ব্যবহার ও প্লাটফর্মে প্রবেশ নিষিদ্ধ করায় তারা বড় ক্ষতির মুখে রয়েছে।