ঢাকায় যাত্রা শুরু হলো বহুল প্রতীক্ষিত মেট্রোরেলের। এর মাধ্যমে যোগাযোগের নতুন যুগে পা রাখল বাংলাদেশ। ২৮ ডিসেম্বর, বুধবার সকাল ১১টায় মেট্রোরেলের একাংশের (উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত) উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে উত্তরার দিয়াবাড়ী থেকে আগারগাঁও অংশে প্রথমবারের মতো যাত্রী নিয়ে ছুটবে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত আধুনিক ট্রেন। পৌনে ১২ কিলোমিটার উড়াল-রেলপথে মাত্র ১০ মিনিট ১০ সেকেন্ডে উত্তরা থেকে আগারগাঁও চলে আসবে মানুষ।
কিন্তু মেট্রোরেলের স্টেশনগুলোতে কার্যকর মোবাইল নেটওয়ার্ক স্থাপনে কোনো উদ্যোগ বাস্তবায়িত না হওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা। এরইমধ্যে উড়াল পথে মেট্রোরেলে ভ্রমণের সময় নিরবিচ্ছিন্ন টেলিযোগাযোগ ও ইন্টারনেট সেবার পাশাপাশি যাত্রীদের জন্য স্টেশন ও রেল বগিতে ফ্রি ওয়াইফাই এর দাবি করেছে গ্রাহক অধিকার নিয়ে সোচ্চার সংগঠন বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক এসোসিয়েশন।
সংগঠনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, মেট্রোরেল নির্মাণ প্রকল্পের সাথে টেলিযোগাযোগ ও ইন্টারনেট সেবা দানের জন্য এই প্রকল্পে কোন নকশা বা ব্যবস্থা করা হয়নি। একজন নাগরিক নিরবিচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সেবা এবং টেলিযোগাযোগ থেকে দূরে থাকে তাহলে তার দৈনন্দিন কার্যক্রম বিঘ্ন ঘটার পাশাপাশি স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের যে লক্ষ্য তা বাধাগ্রস্ত হবে।
তিনি আরও বলেন, সরকার ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে চায়। অথচ দুঃখের সাথে বলতে হয় পদ্মা সেতুসহ বড় বড় প্রকল্পের মধ্যে টেলিযোগাযোগ ও ইন্টারনেট কানেক্টিভিটি গড়ে তোলার কোন ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয় না। আমাদের দাবি- মেট্রোরেল স্টেশন ও রেলের বগিতে ফ্রী ওয়াইফাই ইন্টারনেটের ব্যবস্থা করা। পাশাপাশি টেলিযোগ ও ইন্টারনেট সেবা দানের জন্য যে সকল প্রতিবন্ধকতা রয়েছে তা দ্রুত নিষ্পত্তি করা। আর এই সেবা দানের মাধ্যমে মেট্রোরেল হয়ে উঠবে একটি স্মার্ট রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা।