গত বছর তিন দফায় তিন হাজার কর্মী ছাঁটাই করেছিল প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান মাইক্রোসফট। এবার নতুন বছরের প্রথম মাসেই একসাথে ১০ হাজার কর্মী হ্রাস করার ঘোষণা দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। আগামী তিন মাসের মধ্যে এই কর্মীদের সরিয়ে দেওয়া হবে। প্রতিষ্ঠানটির সিইও জানিয়েছেন, বতর্মান সময়ে এসে সিদ্ধান্তটা খুবই কঠিন। কিন্তু এটা প্রয়োজনীয়। খবর নিউইয়র্কপোস্ট।
এর আগে বিভিন্ন টুইটার, মেটা, আমাজনের মতো জায়ান্ট প্রতিষ্ঠান এভাবে হাজার হাজার কর্মী ছাঁটাই করেছে। বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারির ধাক্কা অনেক কোম্পানিই সামলে উঠতে পেরেছিল। তবে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের জেরে আর্থিক মন্দার কবলে পড়ে গেছে এসব বিশালাকারের প্রতিষ্ঠানগুলো। ফলে এক ধরনের গণহারে কর্মী ছাঁটাইয়ের পথে হাঁটছে এসব প্রতিষ্ঠান।
গত বছরের ৩০ জুনের এক তালিকায় দেখা গেছে, মাইক্রোসফটে ২ লাখ ২১ হাজার কর্মী ছিলেন। এর মধ্যে ১ লাখ ২২ হাজার কর্মী যুক্তরাষ্ট্রে এবং বাকি ৯৯ হাজার কর্মী অন্যান্য দেশে বসে মাইক্রোসফটের হয়ে কাজ করতেন।
গত বছর তিন দফায় লোক কমায় মাইক্রোসফট। গত জুলাইয়ে পুনর্বিন্যাসের অংশ হিসেবে মাইক্রোসফট এক হাজার ৮০০ কর্মীকে চাকরিচ্যুত করে। আগস্টে তারা গ্রাহককেন্দ্রিক গবেষণা ও উন্নয়ন প্রকল্প থেকে আরও ২০০ কর্মীকে ছাঁটাই করে। এক মাস পর গত বছরের অক্টোবরে বিভিন্ন বিভাগ থেকে আরও প্রায় এক হাজার কর্মী ছাঁটাই করে মাইক্রোসফট। এরপরও বড় আকারে কর্মী ছাঁটাইয়ের গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল কোম্পানিটিতে।
গতকাল বুধবার সে গুঞ্জনের সত্যতা স্বীকার করে মাইক্রোসফটের সিইও সত্য নাদেলা বলেন, এটা কঠিন। কিন্তু প্রয়োজনীয় একটি সিদ্ধান্ত। তবে তিনি আশ্বাস দেন, কিছু ক্ষেত্রে লোক ছাঁটাই করা হলেও গুরুত্বপূর্ণ কিছু ক্ষেত্রে নতুন লোক নিয়োগ করবে তার প্রতিষ্ঠান।
তথ্যপ্রযুক্তি কোম্পানিটি জানিয়েছে, ছাঁটাইয়ের বিষয়ে এরই মধ্যে কর্মীদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। বুধবার থেকেই ছাঁটাইয়ের পর্ব শুরু হয়ে গেছে। আগামী তিন মাস ধরে এ কার্যক্রম চলবে। এতে প্রতিষ্ঠানটির ৫ শতাংশ কর্মী বাদ পড়বেন। এবারের ছাঁটাইয়ের তালিকায় রয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির মানবসম্পদ ও প্রকৌশল বিভাগের কর্মীরা।