জনপ্রিয় মাইক্রোব্লগিং ওয়েবসাইট টুইটার পৃথিবীর শীর্ষ ধনকুবের ইলন মাস্কের জিম্মায়। প্ল্যাটফর্মটি ইলন কিনে নেওয়ার পর আলোচনা ও সমালোচনায় মুখ ছিল। বিপুল সংখ্যক কর্মী ছাঁটাই করার পরও চরম অর্থাভাব দেখা গিয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটিতে। আর্থিক দূর্গতি সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে টেসলা প্রধানকে।
দায়িত্ব নিতে না নিতে টুইটারকে আমূল বদলে দিতে উঠেপড়ে লেগেছিলেন মাস্ক। ইতিমধ্যেই বদল এসেছে বহু পলিসিতে। ছাঁটাই করা হয়েছে সংস্থার শীর্ষস্থানীয় একাধিক কর্মীকে। বাদ যাননি টুইটার পরাগ আগরওয়ালও।
অর্থনৈতিক হাল ফেরাতে টুইটার ব্যবহারকারীদের হ্যান্ডল নেমও নিলামে তোলার পরিকল্পনা এঁটেছেন মাস্ক। এমনকী টুইটারের হেডকোয়ার্টার অর্থাৎ সানফ্রান্সিকোর অফিসের চেয়ার টেবিল পর্যন্ত নিলামে তুলেছেন তিনি। নিলামে উঠেছে কফি মেশিন থেকে টুইটারের লোগো কাঠামোটি পর্যন্ত।
কিন্তু তারপরও শেষ রক্ষা হচ্ছে না যেনো! মাস্কের চোখের তলায় হাত ফস্কে বেরিয়ে গিয়েছে কয়েক লাখ কোটি টাকার ল্যাপটপ। প্রতিষ্ঠানটির হাজার হাজার কর্মী ছাঁটাই করেছেন মাস্ক। তবে তাদের থেকে নাকি সংস্থার ল্যাপটপগুলো ফেরত নিতেই ভুলে গিয়েছেন তিনি। সেসব রয়ে গিয়েছে বরখাস্ত হয়ে যাওয়া কর্মীদের কাছেই। সম্প্রতি সামনে এসেছে এমনই তথ্য।
টুইটারে যোগ দেওয়ার সময়ে সংস্থার তরফে কর্মীদের দেওয়া হয়েছিল ম্যাকবুক প্রো এম১ প্রো ল্যাপটপ। তবে চাকরি থেকে ছাঁটার সময়ে সেসব ফেরত নেওয়ার কথা বেমালুম ভুলে গিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। এদিকে, কাজের অ্যাকসেস চলে গিয়েছে তাদের। ফলে ল্যাপটপগুলো অন করতে পারছেন না তারা। ফলে পড়ে পড়ে ধুলা জমছে দামী দামী ল্যাপটপের গায়ে।
এরিক ফ্রনহোয়েফার নামের টুইটারের এক প্রাক্তন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার তেমনটাই জানিয়েছেন। ক্যালিফর্নিয়াতে পোস্টেড ছিলেন এরিক। গত নভেম্বরে চাকরি যায় তার। তবে তার কাছে এখনও পড়ে রয়েছে সংস্থার ল্যাপটপটি। অনেক প্রাক্তন কর্মীই ভাবছেন, ল্যাপটপটিকে রিসেট করানোর কথা। যাতে সেগুলোকে ব্যক্তিগত প্রয়োজনে ব্যবহার করতে পারেন। কেউ কেউ আবার ভয়ে রয়েছেন। কোনও ভাবে তাদের থেকে ল্যাপটপ ফেরত না দেওয়ার ক্ষতিপূরণ না চেয়ে বসে টুইটার। ছাঁটাই হওয়া বেশির ভাগ কর্মীরই সংস্থারই ফুল অ্যান্ড ফাইনাল সেটলমেন্ট পাওয়া বাকি। তা আদৌ মিলবে কিনা, সে নিয়েও চিন্তায় রয়েছেন তারা।