বেক্সিমকো গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান তিস্তা সোলার লিমিটেড পরীক্ষামূলকভাবে জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুতের উৎপাদন ও সঞ্চালন শুরু করেছে। গাইবান্ধার দৈনিক ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন প্ল্যান্টটি গত বছরের ৬ ডিসেম্বর থেকে পরীক্ষামূলকভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন করছে এবং জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহ অব্যাহত রেখেছে।
সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি পুরোপুরি চালু হলে এটি হবে দেশের বৃহত্তম সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র। যা মোংলায় ওরিয়ন গ্রুপের এনারগন রিনিউয়েবলস লিমিটেডের ১৩৪.৩ মেগাওয়াট প্ল্যান্টের চেয়েও বড়।
সূত্র জানায়, তিস্তা সোলার প্ল্যান্ট গত বছরের ৬ ডিসেম্বর থেকে পরীক্ষামূলকভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন করেছে এবং জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহ অব্যাহত রেখেছে। তবে প্রকল্পটি এখনো বাণিজ্যিকভাবে কার্যক্রম পরিচালনার অনুমোদন পায়নি। বিপিডিবি এই প্ল্যান্ট থেকে বিদ্যুৎ কেনার জন্য তিস্তা সোলার লিমিটেডের সাথে ২০ বছরের বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি (পিপিএ) স্বাক্ষর করেছে।
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার লাটশালে ৬০০ একর জমিতে প্রকল্পটি নির্মাণের জন্য শরীয়াহভিত্তিক গ্রিন সুকুক বন্ডের মাধ্যমে প্রায় ৪০০ মিলিয়ন ডলার সংগ্রহ করেছে বেক্সিমকো। তহবিলের একটি অংশ উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে গ্রুপটির ৩০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্রেও গেছে।
এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের মোট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা দাঁড়িয়েছে ২৬,৭০০ মেগাওয়াটে, যার মধ্যে ৩.৫% বা ৯৫৭.৬৭ মেগাওয়াট নবায়নযোগ্য শক্তির উৎস থেকে আসবে।