অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডে পেইড সাবস্ক্রিপশন পরিষেবা চালু করেছে মেটা মালিকানাধীন ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম। ব্যাপকভাবে পরিষেবা চালুর আগে দেশ দুটিতে এটি পরীক্ষা করা হচ্ছে। খবর ফ্রিমালয়েশিয়াটুডে।
বিজ্ঞাপন থেকে আয় কমে যাওয়ার কারণেই মূলত এ উদ্যোগ মেটার। ওয়েবে এ সুবিধা গ্রহণে ১১ দশমিক ৯৯ ডলার এবং অ্যান্ড্রয়েড ও আইওএসে ১৪ দশমিক ৯৯ ডলার ব্যয় হবে। দীর্ঘদিন থেকে যেসব ফিচার ফ্রিতে ব্যবহারযোগ্য ছিল সেগুলোর জন্য ব্যবহারকারীরা অর্থ প্রদানে আগ্রহী কিনা তা যাচাইয়ে পেইড ভেরিফিকেশন সার্ভিস চালু করেছে মেটা।
প্রতিষ্ঠানটির বিবৃতি অনুযায়ী, এখন থেকে সরকার প্রদত্ত আইডি কার্ডের তথ্য প্রদানের মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা ভেরিফায়েড ব্যাজের জন্য আবেদন করতে পারবে। এর মাধ্যমে ছদ্মবেশী অ্যাকাউন্ট থেকে সুরক্ষিত থাকা, সরাসরি কাস্টমার সাপোর্টে যোগাযোগসহ আরো অনেক ফিচার ব্যবহার করা যাবে।
মেটার এক মুখপাত্র জানান, ধীরে ধীরে ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামে মেটার ভেরিফিকেশন চালু করব। আশা করা যাচ্ছে সাতদিনের মধ্যে সবার জন্য শতভাগ পরিষেবা প্রাপ্তি নিশ্চিত করা হবে। প্রথম দিন পরিষেবা চালুর পর অনেকে সিডনি থেকে যোগদানের চেষ্টা করলেও সফল হয়নি বলে জানা গেছে।
ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামে পোস্ট হওয়া এক বিবৃতিতে মেটার সিইও মার্ক জাকারবার্গ বলেন, ‘নতুন পরিষেবাটি আমাদের কার্যক্রমের সত্যতা ও নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করবে।’ পেইড এ পরিষেবার মাধ্যমে ২০০ কোটির বেশি ব্যবহারকারীর কাছ থেকে মেটা আরো রাজস্ব আয় করতে পারবে বলে জানিয়েছেন বিশ্লেষকরা।
সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনলাইন কমিউনিকেশনের একজন প্রভাষক জোনাথন হাচিনসন বলেন, ‘এ ধরনে ভিআইপি পরিষেবা কনটেন্ট নির্মাতাদের জন্য খুবই কার্যকর একটি প্রস্তাব।’ তবে মেটা এরই মধ্যে ব্যবহারকারীদের তথ্যের মাধ্যমে প্রচুর উপার্জন করেছে। যে কারণে সাধারণ ব্যবহারকারীরা সহসাই এ পরিষেবার জন্য অর্থ ব্যয় করবে না।
সিডনির ৩৫ বছর বয়সী একজন সোশ্যাল মিডিয়া ইউজার জানান, মেটার এ পরিষেবার কথা শুনলে আমার বন্ধুরা হাসবে। তার মতে, মানুষ বর্তমানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে থেকে সরে যাচ্ছে।