গ্যালাক্সি সিরিজের বিভিন্ন ডিভাইস উন্মোচনের পর থেকেই ব্যবহারকারীর পছন্দ অনুযায়ী ক্যামেরা কাস্টমাইজ করার বেশ কিছু সুবিধা দিয়ে আসছে প্রযুক্তি জায়ান্ট স্যামসাং। আজ রয়েছে তেমনি একটি অ্যাপের কথা।
ব্যবহারকারীকে গোটা ক্যামেরার নিয়ন্ত্রণ দিতে ডিভাইসের ক্যামেরা সেটিংয়ে বেশ কিছু সুবিধা দিয়ে রেখেছে স্যামসাং।
‘ক্যামেরা অ্যাসিস্ট্যান্ট’ নামের অ্যাপটি ব্যবহারের জন্য ব্যবহারকারীর ডিভাইসে স্যামসাংয়ের ‘ওয়ান ইউআই ৫.১’ সংস্করণের অপারেটিং সিস্টেম থাকার বাধ্যবাধকতা প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট ভার্জ।
এই অ্যাপ চালানো যাবে, এমন ডিভাইসগুলোর মধ্যে আছে:
স্যামসাং গ্যালাক্সি এস২০/ এস২১/ এস২২ / এস২৩ সিরিজ
স্যামসাং গ্যালাক্সি নোট ২০
স্যামসাং গ্যালাক্সি জি ফ্লিপ ৩/ জি ফ্লিপ ৪
স্যামসাং গ্যালাক্সি জি ফোল্ড ২/ জি ফোল্ড ৩/ জি ফোল্ড ৪
ব্যবহারকারীকে এই সুবিধা পেতে হলে প্রথমেই গ্যালাক্সি স্টোর থেকে ক্যামেরা অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাপটি ডাউনলোড করতে হবে।
অ্যাপটি ডাউনলোড হলে, নিজের ক্যামেরা অ্যাপে প্রবেশের পর ব্যবহারকারী বিভিন্ন নতুন ধরনের অপশন খুঁজে পাবেন। পরবর্তীতে, তাকে স্ক্রিনের ওপর বামপাশে থাকা সেটিংয়ে গিয়ে নীচের দিকে স্ক্রল করে ক্যামেরা অ্যাসিন্ট্যান্ট নামের অপশনে চাপ দিতে হবে।
এতে তিনি কী ধরনের সুবিধা পাবেন, তার তালিকায় রয়েছে-
অটো এইচডিআর: এই সেটিং বন্ধ করলে (ডিফল্ট হিসেবেই থাকে) বিভিন্ন উচ্চ রেজুলিউশনের ছবিতে স্যামসাংয়ের ‘জোর করে বানানো’ এইচডিআর ইফেক্ট থেকে মুক্তি মিলবে। তবে, ক্যামেরা অ্যাসিস্ট্যান্ট মেনুতে গিয়ে ফের যোগ করা ছাড়া ছবিতে এই ইফেক্ট ফেরত আনার কোনো উপায় নেই।
পিকচার সফটেনিং: ‘অফ’ (ডিফল্ট), ‘মিডিয়াম’ ও ‘হাই’ অপশনগুলো থেকে বাছাই করে দেখে নিন কোন ইফেক্ট আপনার পছন্দ।
অটো লেন্স সুইচিং: ক্যামেরার স্বয়ংক্রিয় উপায়ে লেন্স অদলবদলের ব্যবস্থা ঠেকাতে এটি বন্ধ করুন (ডিফল্ট হিসেবেই চালু থাকে)। উদাহরণ হিসাবে ধরা যায়, তুলনামূলক কম আলোতে মূল ক্যামেরায় ‘সুইচ’ করে টেলিফটো লেন্সের বদলে ডিজিটাল জুমের ব্যবহার।
কুইক ট্যাপ শাটার: এটি ডিফল্ট হিসেবেই বন্ধ থাকে; এটি চালু করলে ব্যবহারকারীর আঙ্গুল শাটার বাটনে স্পর্শের সঙ্গেসঙ্গেই ক্যামেরা ছবি তোলে। ডিফল্ট হিসাবে এটি ব্যবহারকারী আঙ্গুল সরানোর পর ছবি তুলে থাকে। আর চূড়ান্ত ছবি তৈরির বেলায় তুলনামূলক কম ফ্রেইম ব্যবহার করে এটি। এর ফলে, ছবির মানেও নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।
ক্যাপচার স্পিড: এখানে ব্যবহারকারী তুলনামূলক বেশি ‘শাটার’ সংশ্লিষ্ট অপশন পাবেন। স্বাভাবিক উপায়ে শাটার চালানোর বদলে, ব্যবহারকারী এখানে তিনটি সেটিং পাবেন। এগুলো হলো ‘প্রায়োরিটাইজ কোয়ালিটি’, ‘ব্যালেন্স স্পিড অ্যান্ড কোয়ালিটি’ ও ‘প্রায়োরিটাইজ স্পিড’।
ভিডিও রেকর্ডিং ইন ফটো মোড: এটি বন্ধ করলে ‘স্টিল ফটো’ মোডে দীর্ঘ সময় শাটার চেপে ধরে রাখলেও ভিডিও রেকর্ড হবে না।
টাইমার মাল্টি ফটো অপশনস: ডিফল্ট হিসাবে টাইমার মোডে ক্যামেরা কেবল একটি ছবি তোলে। এখানে সাতটি পর্যন্ত ছবি তোলা যাবে আর ছবি তোলার মধ্যে এটি বিরতি নেবে এক থেকে তিন সেকেন্ড।
ক্যামেরা টাইমআউট: এর মাধ্যমে ক্যামেরা নিষ্ক্রিয় থাকাকালীন সময়ে স্বয়ংক্রিয় উপায়ে এটি বন্ধের জন্য নির্দিষ্ট সময় কমানো বা বাড়ানো যাবে। ডিফল্ট হিসাবে, এতে দুই মিনিট নির্ধারণ করা থাকে। ব্যবহারকারী চাইলে এটি বদলে সর্বনিম্ন এক মিনিট থেকে সর্বোচ্চ ১০ মিনিটে নিতে পারবেন।
ডিম স্ক্রিন হোয়াইল রেকর্ডিং: ভিডিও ক্লিপ রেকর্ডের সময় কোনো ইনপুট না থাকলে, ব্যাটারি খরচ বাঁচাতে এটি স্বয়ংক্রিয়ভাবেই স্ক্রিনের আলো কমিয়ে দেয়। ডিফল্ট হিসেবে এটি বন্ধ থাকলেও ব্যবহারকারী ১০ মিনিট পর্যন্ত এই সুবিধা ব্যবহারের সুযোগ পাবেন।
ক্লিন প্রিভিউ অন এইচডিএমআই ডিসপ্লে: এটি চালু করলে (ডিফল্ট হিসাবেই বন্ধ) এইচডিএমআই পোর্টের মাধ্যমে অন্য কোনো ডিসপ্লে’তে বিভিন্ন বাটন ও সেটিং অপশন ছাড়াই ছবির ক্যামেরা প্রিভিউ দেখা যাবে।