মোবাইল খাতের ন্যূনতম কর ২ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১ শতাংশ করার প্রস্তাব দিয়েছে অ্যাসোসিয়েশন অব মোবাইল টেলিকম অপারেটরস অব বাংলাদেশ (অ্যামটব)।
এনবিআর আয়োজিত প্রাক্-বাজেট আলোচনায় অংশ নিয়ে রোববার (১২ মার্চ) এ প্রস্তাব দেয় সংগঠনটি।
ই-সিমসহ সব ধরনের সিম সরবরাহের ওপর থেকে ২০০ টাকা ভ্যাট অব্যাহতির প্রস্তাব দিয়ে অ্যামটব মহাসচিব ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এস এম ফরহাদ বলেন, সিমের ওপর ভ্যাট প্রত্যাহার করা হলে মোবাইল ফোন অপারেটরগুলোর পক্ষে গ্রামাঞ্চল এবং বিচ্ছিন্ন জনগোষ্ঠীর কাছে আকর্ষণীয় প্যাকেজ নিয়ে হাজির হওয়া সুবিধাজনক হবে। একই সঙ্গে তা বাংলাদেশের ডিজিটাইজেশন লক্ষ্য অর্জন করার জন্য সহায়ক হবে। সরকারের রাজস্ব বৃদ্ধি পাবে এবং শিল্প খাতের উন্নয়ন নিশ্চিত হবে। ই-সিম নিরাপদ, সুবিধাজনক এবং পরিবেশবান্ধব।
করপোরেট করের উচ্চহার কমানোর প্রস্তাব দিয়ে সংগঠনটি জানায়, দেশে সাধারণ করপোরেট ট্যাক্স হার অ-তালিকাভুক্ত কোম্পানির জন্য ২৭ দশমিক ৫ শতাংশ এবং তালিকাভুক্ত কোম্পানির জন্য ২০ থেকে ২২ দশমিক ৫ শতাংশ। অথচ জরুরি সেবা হওয়া সত্ত্বেও মোবাইল খাতের জন্য উচ্চ হারে করপোরেট কর দিতে হয়।
স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত মোবাইল অপারেটরের ক্ষেত্রে করের হার ৪০ শতাংশ ও তালিকাবহির্ভূত কোম্পানির জন্য ৪৫ শতাংশ। করারোপের ক্ষেত্রে মোবাইল অপারেটরগুলোর পৃথক শ্রেণিভুক্ত না করে বরং অন্যান্য কোম্পানির সারিতে পুনর্বিন্যস্ত করা এবং সেই হারে কর হ্রাস করার প্রস্তাব করেন তিনি।
এছাড়া ন্যূনতম কর সমন্বয় করা এবং অসমন্বয়কৃত অঙ্ক জের হিসেবে টানা, ক্যাপিটাল অ্যালাউন্স বা অবচয় ভাতা সমন্বয়, দ্বৈত কর পরিহার চুক্তি বাস্তবায়ন, ই-সিমসহ সব ধরনের সিম সরবরাহের ওপর ভ্যাট অপসারণ এবং সরকারি নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর ভ্যাট অপসারণের দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি। টেলিকম মেশিনারি, ইকুইপমেন্ট ও সফটওয়্যারের জন্য পৃথক এইচএস কোডের প্রস্তাব দিয়েছে অ্যামটব।