দীর্ঘদিন ধরেই ওয়াচে স্বাস্থ্যসংক্রান্ত পরিষেবা যুক্ত করার কথা ভাবছিল অ্যাপল। সে পরিকল্পনা থেকেই রক্তে গ্লুকোজ মনিটরিং ফিচার যুক্তে কাজও শুরু করে কুপারটিনোভিত্তিক প্রযুক্তি জায়ান্টটি। তবে নতুন করে ফিচারটি চালুর সময় পিছিয়ে নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের এ প্রযুক্তি জায়ান্ট।
গিজমোচায়নায় প্রকাশিত খবরে বলা হয়, একটি বিশেষ স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণ প্রযুক্তি যুক্ত করার ঘোষণা দিয়ে আসছে নির্মাতা জায়ান্টটি। চলতি বছরের শুরুর দিকে এটি বাজারে ছাড়ার কথা ছিল। তবে উন্নয়নসংক্রান্ত কারণে শিগগিরই এটি বাজারে আসছে না।
ব্লুমবার্গের সাংবাদিক ও অ্যাপলের তথ্য পর্যালোচনাকারী মার্ক গুরম্যান জানান, রক্তের শর্করা পরিমাপক ফিচারসহ অ্যাপল ওয়াচ বাজারে আসতে এখনো অনেক দূরের কথা। তিনি বলেন, ‘ডিভাইসটি আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হতে তিন থেকে সাত বছর পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।’
ঘোষিত রক্তের গ্লুকোজ মনিটরিং ফিচারযুক্ত প্রযুক্তি চালু করতে এখনো অনেক পথ হাঁটতে হবে কুপারটিনোভিত্তিক প্রযুক্তি জায়ান্টকে।
ফিচারটি চালু করতে এর অ্যালগরিদম এবং অনবোর্ড সেন্সরগুলো নিয়ে কাজ করতে হবে। পাশাপাশি অ্যাপল ওয়াচের আকৃতি ও কাঠামোগত পরিবর্তনের বিষয়টিও মাথায় রাখতে হবে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, রক্তের শর্করা পরিমাপক প্রযুক্তি চালু করতে একটি দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে হবে অ্যাপলকে। ২০১০ সালে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান রেয়ারলাইট অধিগ্রহণের পর স্বাস্থ্যসংক্রান্ত প্রযুক্তি উন্নয়নের কাজ শুরু করে অ্যাপল।
মার্কিন টেক জায়ান্টটি বলছে, অ্যাপলের লক্ষ্য ডায়াবেটিস রোগের বিষয়ে সচেতনতা তৈরি করা। সেই সঙ্গে ডায়াবেটিস আক্রান্ত হওয়ার আগে এবং পরে জীবনধারা পরিবর্তন করার সঠিক পরামর্শ দেয়া। এছাড়া রোগটি নিয়ন্ত্রণে এবং এটি মোকাবেলায় অ্যাপলের স্মার্টওয়াচ ব্যবহারকারীদের সতর্ক করা। বর্তমানে এ প্রযুক্তি ব্যবহারের অনুমোদন পাওয়ার জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও জানা গেছে।