প্রথম ইউরোপীয় দেশ হিসেবে আলোচিত চ্যাটজিপিটি নিষিদ্ধ করেছে ইতালি। দেশটির তথ্য সুরক্ষা কর্তৃপক্ষ জানায়, ‘চ্যাটজিপিটিতে সুরক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে উদ্বেগ থাকায় এটি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত দ্রুত কার্যকরের পাশাপাশি ওপেনএআইয়ের বিরুদ্ধে তদন্ত করা হবে।’
গত নভেম্বরে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) গবেষণা প্রতিষ্ঠান ওপেনএআই চ্যাটজিপিটি চালু করে। এরপর থেকেই নড়েচড়ে বসে টেক জায়ান্ট প্রতিষ্ঠানগুলো। মাত্র ২ মাসেই ১০ কোটির বেশি মানুষ যুক্ত হয় এই প্ল্যাটফর্মে। এর আগে, গত জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরের সরকারি স্কুলগুলোতে ছাত্র ও শিক্ষকদের জন্য ‘চ্যাটজিপিটি’ ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়।
ইতালির পর্যবেক্ষক সংস্থা জানিয়েছে, গত ২০ মার্চ প্ল্যাটফর্মটিতে ব্যবহারকারীদের চ্যাটের তথ্য ও অর্থ প্রদানসংক্রান্ত তথ্য ফাঁসের বিষয়টি নজরে আসে। তারা বলছে, প্ল্যাটফর্মটির কার্যক্রম পরিচালনায় অ্যালগরিদমকে উপযুক্তভাবে ব্যবহারের উদ্দেশ্যের কথা বলে গণহারে ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ ও মজুতের কোনো আইনি ভিত্তি নেই।
এছাড়া চ্যাটজিপিটিতে ব্যবহারকারীদের বয়স যাচাই করার কোনো ব্যবস্থা নেই। ফলে প্ল্যাটফর্মটি অপ্রাপ্তবয়স্কদের অনুপযুক্ত উত্তর দেবে।
কর্তৃপক্ষের উদ্বেগ নিরসনে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে —এমন প্রশ্নের জবাব দিতে ওপেনএআইকে ২০ দিন সময় দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে প্রতিষ্ঠানটিকে দুই কোটি ইউরো অথবা বার্ষিক আয়ের ৪ শতাংশ জরিমানা গুনতে হবে বলে জানিয়েছে ইতালির সংস্থাটি।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইতালির এ সিদ্ধান্তের পর আয়ারল্যান্ডও নড়েচড়ে বসেছে। দেশটির তথ্য সুরক্ষা কমিশন জানিয়েছে, ইতালির কর্তৃপক্ষ ঠিক কী কারণে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হবে। এ ছাড়া এই নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের তথ্য সুরক্ষা কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও তারা যোগাযোগ করবে।
ইতালি প্রথম ইউরোপীয় দেশ হিসেবে চ্যাটজিপিটি নিষিদ্ধ করলেও চীন, ইরান, উত্তর কোরিয়া ও রাশিয়া আগেই তা নিষিদ্ধ করেছে। এ বিষয়ে বিবিসি ওপেনএইআই এর সঙ্গে যোগাযোগ করলে তারা কোনো মন্তব্য করেনি।