আগামী রবিবার থেকে রেলের ৫০ শতাংশ টিকিট বিক্রি হবে অ্যাপের মাধ্যমে। টিকিটের দাম পরিশোধ করা যাবে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমেও। বাকি টিকিট বিক্রি হবে স্টেশনের কাউন্টার থেকে। ২৮ এপ্রিল অ্যাপ চালু হলে কালোবাজারি বন্ধ হয়ে যাবে। টিকিট পেতে ভোগান্তিও থাকবে না।
ঈদযাত্রার আগাম টিকিটের ভিড় এড়াতে এবারের ঈদে কমলাপুরের বাইরেও বিক্রি হবে ট্রেনের টিকিট। ‘ওয়ানস্টপ রেলওয়ে ডিজিটাল যাত্রীসেবা সিস্টেম’ বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে মূলত এ অ্যাপ চালু করা হচ্ছে।এই অ্যাপ চালু হলে যাত্রীরা পছন্দের সিট, টিকিটের মূল্য পরিশোধ এবং ট্রেনের বর্তমান অবস্থান জানতে পারবেন। এছাড়া যাত্রা শেষে সেবার মান সম্পর্কেও যাত্রীরা রেটিং দিতে পারবেন।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক কাজী মো. রফিকুল আলম বলেন, রেলপথে ভ্রমণে আগ্রহী যে কোন যাত্রী এই অ্যাপ দিয়ে ঘরে বসেই টিকিট কাটতে পারবেন। এটা দিয়েই অনলাইনের মাধ্যমে টিকিট মূল্য পরিশোধ করে মোবাইল ম্যাসেজে দায়িত্বপ্রাপ্ত রেল কর্মকর্তাকে তার প্রমাণ পরিদর্শন করলেই যাত্রীর টিকিট সঠিক বলে প্রমাণিত হবে।
এ ছাড়া কাগজে ডকুমেন্ট রাখার জন্য কোন যাত্রী অ্যাপ দিয়ে টিকিট কেটে স্টেশনে এস কাগজে টিকিটও সংগ্রহ করতে পারবেন। সেই সুবিধাও রাখা হবে। মূলত অ্যাপটি চালু করা হলে টিকিটসহ রেলওয়ে কর্তৃক যাত্রীসেবায় প্রযুক্তিনির্ভর ব্যাপক পরিবর্তন আনা সম্ভব হবে।
বর্তমানে রেলের ২৫ ভাগ টিকিট বিক্রি হয় মোবাইল ও অনলাইনে। ১০ ভাগ চলে যায় কোটায়। বাকিটা বিক্রি হয় কাউন্টার থেকে। সেখানে কালোবাজারি ও ভোগান্তির অভিযোগ রয়েছে।
এদিকে আগামী ঈদে কাউন্টার ছাড়াও রাজধানীর মিরপুর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিসহ ৬টি স্থান থেকে রেলের অগ্রীম টিকিট সংগ্রহ করতে পারবেন যাত্রীরা। ৬টি স্থান হলো- ফুলবাড়িয়া, টিএসসি, মিরপুর ও গাজীপুরের জয়দেবপুরসহ আরো ২টি স্থান।