এক বছরে মোবাইল আর্থিক সেবা দাতা প্রতিষ্ঠান বিকাশের লোকসান আগের বছরের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ বেড়েছে। প্রতিষ্ঠানটির আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত বছর তাদের লোকসান গুনতে হয়েছে ১২৩ কোটি টাকা। মূলত পরিচালন এবং প্রশাসনিক ব্যয়, সার্বিক কাঠামোগত দুর্বলতা এবং ব্যবসায় দূরদর্শিতার অভাবই লোকসানের কারণ। বলা হচ্ছে, ধারাবাহিক এই পতনে বিকাশের মোবাইল আর্থিক সেবায় এক ধরনের নেতিবাচক অবস্থা তৈরি হয়েছে।
এইবার বছরে ১২৩ কোটি টাকা লোকসানে থেকে আর্জেন্টিনা ফুটবল দলের স্পন্সর করল বিকাশ । বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা ফুটবল দলের সাথে রিজিওনাল স্পন্সরশিপে যুক্ত হয়েছে মোবাইল ফিনান্সিয়াল সেবা বিকাশ লিমিটেড। এই প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের কোনো প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হল আর্জেন্টাইন ফুটবল ফেডারেশন। আর্জেন্টাইন ফুটবল ফেডারেশন এক ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। সেই সঙ্গে এই চুক্তির ব্যাপারে বিস্তারিত একটি আর্টিকেলও প্রকাশ করেছে তারা তাদের ওয়েবসাইটে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২১ সালে বিকাশের নিট লোকসানের পরিমাণ দাঁড়ায় ১২৩ কোটি ৪২ লাখ টাকা। আগের বছর অর্থাৎ ২০২০ সালে নিট লোকসান ছিল ৬৭ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। এক বছরে মোবাইল আর্থিক সেবা দাতা প্রতিষ্ঠান বিকাশের লোকসান আগের বছরের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ বেড়েছে। প্রতিষ্ঠানটির আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত বছর তাদের লোকসান গুনতে হয়েছে ১২৩ কোটি টাকা। মূলত পরিচালন এবং প্রশাসনিক ব্যয়, সার্বিক কাঠামোগত দুর্বলতা এবং ব্যবসায় দূরদর্শিতার অভাবই লোকসানের কারণ। বলা হচ্ছে, ধারাবাহিক এই পতনে বিকাশের মোবাইল আর্থিক সেবায় এক ধরনের নেতিবাচক অবস্থা তৈরি হয়েছে।
টানা তিন বছর লোকসান গুনছে বিকাশ। দেখা গেছে, ২০১৯ সালে লোকসানের পরিমাণ ছিল ৬২ কোটি ৫১ লাখ টাকা। ২০২০ সালের ৬৭ কোটি ৪৩ লাখ এবং ২০২১ সালে যা দ্বিগুণ বেড়ে হয় ১২৩ কোটি ৪২ লাখ টাকা।
লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনা ফুটবল দলকে পুরো বিশ্বকাপ ২০২২ এর সময় জুড়েই নানাভাবে সমর্থন দিয়ে গেছে বাংলাদেশের লাখো আর্জেন্টাইন ভক্তরা। আর এই উন্মাদনা নজর কেড়েছে লিওনেল মেসি সহ আর্জেন্টিনার সবার। তাই আর্জেন্টিনা নানাভাবে বাংলাদেশের সাথে বন্ধনকে আরও শক্তিশালী করে তুলতে সচেষ্ট হয়েছে। সম্প্রতি আর্জেন্টিনা বহু বছর পর তাদের বাংলাদেশ দূতাবাস পুনরায় চালু করেছে। আর এখন এই স্পন্সরশিপের ঘোষনা এলো বিকাশ ও আর্জেন্টাইন ফুটবল ফেডারেশনের কাছ থেকে।