বাংলাদেশে ইন্টারনেট ব্যবহারের মাধ্যমে প্রচারিত বিজ্ঞাপন বাবদ আয় নিজ দেশে নিতে ফেসবুক-ইউটিউব-এর মতো বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলোকে ১৫ শতাংশ হারে কর দিতে হবে। এছাড়া ‘টেলিভিশন-রেডিও’ থেকে পাওয়া আয় নিতে বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলোকে ২০ শতাংশ কর দিতে হবে; ব্যাংকগুলো তা কেটে নিবে। সোমবার (৮ মে) এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
সার্কুলারে উল্লেখ করা হয়, বিদেশি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে প্রচারিত বিজ্ঞাপন বাবদ আয় রেমিট্যান্স আকারে অনিবাসী প্রতিষ্ঠানের কাছে পাঠাতে ব্যাংকগুলোকে সর্বোচ্চ ২০ শতাংশ কর কেটে রাখতে হবে। বিদেশে অর্থ পাঠানোর সময়ে ‘ডিজিটাল মার্কেটিং’ ক্যাটাগরিতে ১৫ শতাংশ ও ‘এডভারটাইজিং ব্রডকাস্টিং’ ক্যাটাগরিতে ২০ শতাংশ হারে কর কেটে নিতে ব্যাংকগুলোকে নতুন নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
সার্কুলারে উল্লেখ করা হয়, ‘অনিবাসী প্রতিষ্ঠানের রেমিট্যান্স পাঠাতে ব্যাংকগুলো বিভিন্ন গ্রাহকের কাছ থেকে আগামী জুন পর্যন্ত ভিন্ন ভিন্ন হারে কর কর্তন করতে পারবে না।’
এতদিন ব্যাংকগুলো বিদেশে অর্থ পাঠানোর সময়ে ভিন্ন ভিন্ন হারে কর কেটে নিতো বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) বরাত দিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, অনিবাসী প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে প্রচারিত বিজ্ঞাপন ও কনটেন্ট-এর ধরন অনুযায়ী নতুন সংজ্ঞা নির্ধারণ করেছে এনবিআর।
‘ডিজিটাল মার্কেটিং’ বিষয়ে উল্লেখ করা হয়েছে, ইন্টারনেট ব্যবহার করে কোনও বিজ্ঞাপন প্রচার করা হলে অর্থাৎ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বা ওয়েবসাইটে কোনও বিজ্ঞাপন প্রচার বা কোনও কনটেন্ট এর প্রমোশন বা বিপণন করা হলে তা ডিজিটাল মার্কেটিং হিসেবে গণ্য হবে। কোনও টেলিভিশন বা রেডিও চ্যানেলে প্রচারিত কোনও কনটেন্ট বা বিজ্ঞাপন ডিজিটাল মার্কেটিং হিসেবে গণ্য হবে না।
‘অ্যাডভারটাইজমেন্ট ব্রডকাস্টিং’-এর বিষয়ে বলা হয়েছে, কোন টেলিভিশন বা রেডিও চ্যানেলে কোনও বিজ্ঞাপন সম্প্রচার হলেই কেবল তা অ্যাডভারটাইজমেন্ট ব্রডকাস্টিং হিসেবে গণ্য হবে। ইন্টারনেট ব্যবহার করে কোনও বিজ্ঞাপন প্রচার করা হলে অর্থাৎ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বা ওয়েবসাইটে কোনও বিজ্ঞাপন প্রচার বা কোনও কন্টেন্ট এর প্রমোশন বা বিপণন করা হলে তা অ্যাডভারটাইজমেন্ট ব্রডকাস্টিং হিসেবে গণ্য হবে না।