‘২০২৩ সিল বিজনেস সাসটেইনেবিলিটি অ্যাওয়ার্ডস’-এ সাসটেইনেবল প্রোডাক্ট ক্যাটাগরিতে বিজয়ী হিসেবে অপো’র ব্যাটারি হেলথ ইঞ্জিনের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। অপো এই অ্যাওয়াডের্র মাধ্যমে জেনারেল মোটরস, টি-মোবাইল এবং সিসকোর মতো প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ আন্তর্জাতিক সাসটেইনেবিলিটি অ্যাওয়ার্ড অর্জন করল।
সিল অ্যাওয়ার্ডস (সাসটেইনেবিলিটি, এনভায়রনমেন্টাল অ্যাচিভমেন্ট অ্যান্ড লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ডস) বিশ্বব্যাপী এমন সকল কোম্পানি এবং নেতাদের প্রদান করা হয় যারা সাসটেইনেবিলিটি অর্জনে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছে এবং উদ্ভাবনী ভাবনা বিকাশের মাধ্যমে পরিবেশে ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনের মাধ্যমে টেকসই উন্নয়নে অপো’র ক্রমবর্ধমান প্রচেষ্টার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি হিসেবে অপো ব্যাটারি হেলথ ইঞ্জিন- কে ‘২০২৩ সিল অ্যাওয়ার্ড’ প্রদান করা হয়েছে।
অপো’র ওভারসিজ সিএমও এলভিস ঝৌ বলেন, “উদ্ভাবন ও স্থায়িত্ব অর্জনের স্বীকৃতিস্বরূপ অপো ব্যাটারি হেলথ ইঞ্জিনের জন্য সিল সাসটেইনেবল প্রোডাক্ট অ্যাওয়ার্ডটি পেয়ে আমরা সম্মানিত-বোধ করছি।”
তিনি আরো বলেন, “টেকনোলোজি ফর ম্যানকাইন্ড, কাইন্ডনেস ফর দ্য ওয়ার্ল্ড মিশনের মাধ্যমে আমরা ২০৫০ সালের মধ্যে ‘কার্বন নিউট্রাল অপারেশন্স’ অর্জনের অঙ্গীকার নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। আমরা আমাদের প্রতিষ্ঠানে সাসটেইনেবিলিটি বজায় রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে, সব উদ্ভাবনেরই মানুষের জীবন এবং পরিবেশের ওপর ইতিবাচক প্রভাব বিস্তার করা উচিত এবং আমরা আমাদের টেকসই উন্নয়ন কার্যক্রম চালিয়ে যাব, কারণ ব্যবহারকারীদের এবং ইন্ডাস্ট্রিকে আমরা একটি পরিবেশ-বান্ধব ভবিষ্যৎ উপহার দিতে আশাবাদী।”
সিল অ্যাওয়ার্ডসের প্রতিষ্ঠাতা ম্যাথিউ হার্নি বলেন, “জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় প্রতিটি শিল্পের ভূমিকা রয়েছে। আমরা অপো’র সাসটেইনেবিলিটি লিডারশিপ ও উদ্ভাবনকে সাধুবাদ জানাই।”
ব্যাটারি হেলথ ইঞ্জিন একটি সিস্টেম-লেভেল ব্যাটারি হেলথ সল্যুশন যা অপো তিন বছর ধরে তৈরি করেছে। ‘ডেড লিথিয়াম’ সম্পর্কিত বিভিন্ন ব্যাটারির সমস্যা সমাধানের মাধ্যমে ব্যাটারি হেলথ ইঞ্জিন সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ব্যাটারির ক্ষমতা হ্রাসের প্রবণতা প্রশমন, ব্যাটারির আয়ু বৃদ্ধি এবং ফেলে দেওয়া স্মার্টফোন ব্যাটারির কারণে সৃষ্ট বৈদ্যুতিক বর্জ্য হ্রাস করতে সহায়তা করে।
অপো’র কাস্টমাইজড ব্যাটারি ম্যানেজমেন্ট চিপ, স্মার্ট ব্যাটারি হেলথ অ্যালগরিদম এবং ব্যাটারি হিলিং টেকনোলজির ওপর ভিত্তি করে ব্যাটারি হেলথ ইঞ্জিন- ১,৬০০ চার্জ-ডিসচার্জ চক্রের পরও অপো স্মার্টফোনের ব্যাটারি ক্যাপাসিটি তার মূল কার্যকারিতার ৮০% পর্যন্ত বজায় রাখতে পারে, তাই ব্যাটারির টেকসইতা ইন্ডাস্ট্রির সাধারণ মানদ-ের চেয়ে অনেক বেশি বৃদ্ধি পায়। ২০২২ সালে প্রথম বাজারে আসার পর থেকে ব্যাটারি হেলথ ইঞ্জিন ‘অপো ফাইন্ড এক্স-৫ সিরিজ’সহ দশটিরও বেশি অপো স্মার্টফোনে ব্যবহার করা হয়েছে, যেখানে যেটি কেবল স্মার্টফোন ব্যবহারের দারুণ অভিজ্ঞতাই প্রদান করেছে না বরং এর ডিভাইসের উন্নত স্থায়িত্বের মাধ্যমেও ব্যবহারকারীদের সন্তুষ্টি অর্জনে সক্ষম হয়েছে।
অপো ব্যাটারি হেলথ ইঞ্জিন উদ্ভাবন এবং স্মার্টফোন ইন্ডাস্ট্রির টেকসই উন্নয়নে চলমান অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ, প্রভাবশালী বিজনেস মিডিয়া ফাস্ট কোম্পানি ২০২৩ সালে এশিয়া-প্যাসিফিক অ লের ১০টি সর্বোচ্চ উদ্ভাবনী কোম্পানির মধ্যে অপোকে একটি হিসেবে নির্বাচিত করে।
অপো’র প্রোডাক্ট ডিজাইন এবং ব্যবসায়িক কার্যক্রম সাসটেইনেবিলিটি’কে ঘিরে আবর্তিত হয়ে আসছে এবং প্রতিষ্ঠানটি একটি পরিবেশে-বান্ধব ভবিষ্য গড়তে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন উদ্ভাবনের চেষ্টা করে যাচ্ছে।
এমডব্লিউসি ২০২৩-তে অপো ব্র্যান্ড-নিউ ‘জিরো-পাওয়ার ট্যাগ’ উদ্যোগ উন্মোচন করেছে– যেটি একটি কমিউনিকেশন্স ডিভাইস যা পরিবেশ থেকে শক্তি সংগ্রহ করে এবং ব্যাটারির প্রয়োজন ছাড়াই অপারেট করতে পারে।
এছাড়া, কোম্পানিটি সকল পণ্যের ‘লাইফ-সাইকেল ম্যানেজমেন্ট’ এর জন্য একটি বৈজ্ঞানিক এবং পরিবেশ-বান্ধব পদ্ধতি গ্রহণ করেছে; যেটির মধ্যে কেবল প্রাকৃতিক সম্পদের ব্যবহার হ্রাস করার জন্য ‘৩আর+১ডি’ আন্তর্জাতিক গ্রিন প্যাকেজিং নীতিগুলোরই অন্তর্ভুক্ত নয়, বরং বৈদ্যুতিক বর্জ্য হ্রাস করার জন্য ‘ব্যাটারি হেলথ ইঞ্জিন’ এবং ‘প্রোডাক্ট ট্রেড-ইন’ এর মাধ্যমে পণ্যের টেকসইতা বাড়ানোর বিষয়ও রয়েছে। অপো’র অভিনব উৎপাদন এবং বৈশ্বিক কার্যক্রমের ফলে কোম্পানিটির সকল স্তরে পরিবেশগত প্রভাব হ্রাস পাচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে- এর ম্যানুফ্যাকচারিং কার্যক্রমে ‘এনার্জি সেভিং আপগ্রেড’ নিশ্চিত করা এবং অপো অ্যান্ডেসব্রেইন আইডিসি এ গ্রিন ডেটা সেন্টার নির্মাণ।
অপো তার ব্যবসায়িক কার্যক্রমজুড়ে টেকসই উন্নয়নের অন্যান্য উপায়সমূহের অনুসন্ধান অব্যাহত রাখবে, যাতে সর্বাধুনিক গ্রিন টেকনোলোজি ব্যবহার করে বিশ্বব্যাপী ব্যবহারকারীদের কাছে স্মার্ট এবং আরও পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি এবং পণ্য সরবরাহ করার পাশাপাশি এই ইন্ডাস্ট্রির একটি সুন্দর ভবিষ্যত নিশ্চিত করা সম্ভব হয়।