বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের তৈরি অ্যান্ড্রয়েড ফোনে গরিলা নামের একটি ক্ষতিকর প্রোগ্রাম (ম্যালওয়্যার) পাওয়া গেছে। এখন পর্যন্ত ভারত, ইন্দোনেশিয়া, মেক্সিকো, থাইল্যান্ড, রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অ্যান্ড্রয়েড ফোনে এর উপস্থিতিতে পাওয়া গেছে। এটি ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত গোপনীয়তা লঙ্ঘন করতে পারে। এ ছাড়াও দ্রুত ব্যাটারির চার্জ শেষ করে স্মার্টফোন ব্যবহারের বাজে অভিজ্ঞতার মুখোমুখি করতে পারে।
তথ্যপ্রযুক্তি নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান ট্রেন্ড মাইক্রোর বিশেষজ্ঞরা গরিলা নামের এই ক্ষতিকর প্রোগ্রামটির সন্ধান পেয়েছেন। তাঁরা বলছেন, কোনো স্মার্টফোনে এটি ঢুকে পড়েলে নিজে থেকেই হালনাগাদ হয়। এ ছাড়া অন্যান্য ক্ষতিকর সফটওয়্যার বা প্রোগ্রাম ইনস্টল করে। এ ছাড়া ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করে। অ্যান্ড্রয়েড ফোনে থাকা অন্য অ্যাপে বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করে এটি।
ট্রেন্ড মাইক্রোর তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত ৮৯ লাখ অ্যান্ড্রয়েড ফোনে গরিলার অস্তিত্ব রয়েছে। ৫০টিরও বেশি উৎপাদনকারীর অ্যান্ড্রয়েড ফোনে এ ম্যালওয়্যারের উপস্থিতি রয়েছে। ট্রেন্ড মাইক্রোর গবেষকেরা সম্প্রিত ব্ল্যাক হ্যাট এশিয়া ২০২৩ সম্মেলনে এ তথ্য উপস্থাপন করেন।
গবেষকেরা বলেন, গরিলা নামের এই ম্যালওয়্যারটির সঙ্গে ২০১৬ সালে শনাক্ত হওয়া ট্রায়াডার ম্যালওয়্যারের মিল রয়েছে। এ ম্যালওয়্যারের পেছনে থাকা ব্যক্তিরা একই হতে পারেন।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, অনেক স্মার্টফোনে গরিলা ম্যালওয়্যার আগে থেকে ইনস্টল করা থাকে। এতে ফোনের ব্যাটারির চার্জ দ্রুত শেষ হওয়ার পাশাপাশি ফোনের প্রসেসিং ক্ষমতাকেও ব্যবহার করে। ফলে ফোন হ্যাং হতে পারে।
ট্রেন্ড মাইক্রোর পক্ষ থেকে অবশ্য কোনো ফোন নির্মাতার নাম বা ফোনের মডেলের নাম উল্লেখ করা হয়নি। গবেষকেরা বলেন, গরিলা ম্যালওয়্যার একেবারে নতুন নয়। এটি ২০১৮ সালে প্রথম শনাক্ত হয়। গত পাঁচ বছর ধরেই এ ম্যালওয়্যারটি ছড়াচ্ছে। ক্ষতিকর ম্যালওয়্যার থেকে রক্ষা পেতে অপরিচিত কোনো উৎস থেকে অ্যাপ ডাউনলোড না করার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।