ডেটা নিরাপত্তা নিয়ে বিভিন্ন দেশে সমালোচনায় পড়া টিকটক আগামী কয়েক বছরে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে। চীনের বাইটড্যান্সের মালিকানাধীন শর্ট ভিডিও অ্যাপটির লক্ষ্য এই অঞ্চলে ব্যবহারকারী দ্বিগুণে উন্নীত করা।
বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায় এ ঘোষণা দিয়েছেন টিকটকের সিইও শো জি চিউ।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ৬৩ কোটির জনসংখ্যার অর্ধেক বয়স ৩০ বছরের কম। ব্যবহারকারী সংখ্যার দিক থেকে যা টিকটকের বৃহত্তম বাজারগুলোর অন্যতম।
তবে ই-কমার্সের ক্ষেত্রে অঞ্চলটি এখনো এই প্লাটফর্মের জন্য আয়ের বড় উৎস হয়ে উঠতে পারেনি। এখানে প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে রয়েছে শোপি, লাজাডা ও টোকোপিডিয়ার মতো ই-কর্মাস অ্যাপ। যার প্রতিটির পেছনে রয়েছে বড় প্রযুক্তি জায়ান্ট।
শো জি চিউ জাকার্তার এক অনুষ্ঠানে বলেন, আমরা আগামী কয়েক বছরে ইন্দোনেশিয়া ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করতে যাচ্ছি।
এই অঞ্চলে টিকটকের সামাজিক ও অর্থনৈতিক প্রভাব তুলে ধরতে এই ফোরামের আয়োজন করা হয়।
তিনি বলেন, টিকটক আরো বৈচিত্র্যময় হয়ে উঠছে। বেশি ব্যবহারকারী যুক্ত হচ্ছে। বিজ্ঞাপনের বাইরে প্রসারিত হচ্ছে ই-কমার্স। লাইভস্ট্রিমিংয়ের সময় গ্রাহকদের পণ্য কেনার সুযোগও দিচ্ছে।
চিউ বলেন, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় টিকটকের আট হাজার কর্মী রয়েছে। এই অঞ্চলের বৃহত্তম অর্থনীতি ইন্দোনেশিয়ায় দুই লাখ ছোট বিক্রেতা এই প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে ব্যবসা করছে।
চীনা মালিকানাধীন সংস্থাটি কয়েকটি দেশের সরকার ও নিয়ন্ত্রকদের কাছ থেকে তদন্তের মুখোমুখি হয়েছে। সন্দেহ করা হয়, চীনের স্বার্থে অ্যাপটি ব্যবহারকারীর ডেটা সংগ্রহ করে। এমন পরিস্থিতিতে বিনিয়োগের ঘোষণা এল।
এরই মধ্যে ব্রিটেন ও নিউজিল্যান্ডসহ কয়েকটি দেশ সরকারি ফোনে অ্যাপটিকে নিষিদ্ধ করেছে। তবে চীনা সরকারের সঙ্গে তথ্য-উপাত্ত ভাগাভাগির কথা অস্বীকার করেছে টিকটক।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় সরকারি ডিভাইসে বড় ধরনের নিষেধাজ্ঞার সম্মুখীন না হলেও এর বিষয়বস্তুর ওপর নজরদারি রয়েছে। ইন্দোনেশিয়া ২০১৮ সালে অল্প সময়ের জন্য নিষিদ্ধ করে। অভিযোগে ছিল পর্নোগ্রাফি, অসংযত বিষয়বস্তু ও ব্লাসফেমি নির্ভর কনটেন্ট প্রকাশ। এ ছাড়া তরুণ, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের জন্য হুমকিস্বরূপ ‘বিষাক্ত’ উপাদান রয়েছে বলে তদন্তের ঘোষণা দিয়েছে ভিয়েতনাম।