দক্ষিণ কোরিয়ায় লাইভ কমার্সের জন্য প্রথম অফিশিয়াল শপিং চ্যানেল চালু করতে যাচ্ছে ইউটিউব। ইয়োনহাপ নিউজ এজেন্সির সাম্প্রতিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ৩০ জুন এ পদক্ষেপ নেয়ার পরিকল্পনা করছে ভিডিও প্লাটফর্মটি।
দক্ষিণ কোরিয়ায় এরই মধ্যে প্রযুক্তি জায়ান্ট ন্যাভারের নেতৃত্বে একটি সমৃদ্ধ লাইভ স্ট্রিমিং বাণিজ্য ব্যবসা রয়েছে। এর মাধ্যমে দেশটি বিশ্বব্যাপী হেভিওয়েট কোম্পানির জন্য একটি প্রধান পরীক্ষামূলক বাজার হয়ে উঠেছে। কেননা অ্যালফাবেটের মালিকানাধীন (গুগল) কোম্পানিটি বাজারটিতে আরো বেশি শপিংযোগ্য হওয়ার দিকে মনোনিবেশ করছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে ইয়োনহাপ ও অন্যান্য কোরিয়ান মিডিয়া জানিয়েছে, নতুন চ্যানেলটি কোরিয়ান ভাষায় কাজ করবে এবং এটি ৯০ দিনের প্রকল্প হিসেবে শুরু হবে। শুরুতে এটি কোম্পানিগুলোকে একটি লাইভ কমার্স প্লাটফর্ম প্রদান করবে এবং প্রায় ৩০টি ব্র্যান্ডের শপিং কন্টেন্ট লাইভ স্ট্রিম করার পরিকল্পনা করছে।
ইয়োনহাপ জানিয়েছে, এটি কোনো দেশে ইউটিউবের প্রথম অফিশিয়াল শপিং চ্যানেল। ইউটিউবের এক মুখপাত্র বলেন, ‘আমরা সময়ে সময়ে ইউটিউব শপিংয়ের বিভিন্ন ফিচার নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে পারি।’
টিকটকের মতো কিছু প্লাটফর্মের প্রভাবে বিজ্ঞাপন থেকে আয় কমার কারণে এ খাতের প্রতিযোগিতায় কিছুটা পিছিয়ে পড়ছে ইউটিউব। এ বিষয়ে গুগলের প্রধান বাণিজ্যিক কর্মকর্তা ফিলিপ শিন্ডলার ফেব্রুয়ারিতে বলেছিলেন, ‘মানুষের জন্য তাদের পছন্দসই নির্মাতা, ব্র্যান্ড ও কনটেন্ট থেকে কেনাকাটা করা সহজ করার ক্ষেত্রে প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে।’
কিয়োবো সিকিউরিটিজের তথ্যানুযায়ী, বর্তমানে দক্ষিণ কোরিয়ায় এ খাতের শীর্ষ শেয়ার ন্যাভারের দখলে। গতকাল স্থানীয় সময় সকালে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারদর ৪ শতাংশ কমেছে। খুচরা বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান লোট শপিংয়ের কমেছে ৩ দশমিক ৩ শতাংশ। সার্বিকভাবে শেয়ার কমেছে শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ। এটি ইউটিউবের বাজারে প্রবেশের প্রভাব এবং এটি বিদ্যমান প্রতিযোগীদের জন্য সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে। জিংবো সিকিউরিটিজের বিশ্লেষকরা দক্ষিণ কোরিয়ার লাইভ ই-কমার্স বাজারের উল্লেখযোগ্য প্রসারণের পূর্বাভাস দিয়েছেন। তাদের মতে, ২০২১ সালে দক্ষিণ কোরিয়ার লাইভ কমার্সের বাজার ছিল ২ দশমিক ৮ ট্রিলিয়ন কোরিয়ান ওনের। চলতি বছর বাজারটি ১০ ট্রিলিয়ন ওন ছাড়িয়ে যাবে।