প্রযুক্তিপণ্যের দেশীয় প্রতিষ্ঠান ওয়ালটনের বিশ্বমানসম্পন্ন কারখানা পরিদর্শন করেছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন। শনিবার গাজীপুরের চন্দ্রায় স্বপরিবারে ওয়ালটন কারখানা পরিদর্শন করেন তিনি। দেশীয় প্রযুক্তিপণ্য উৎপাদন শিল্পের অভাবনীয় অগ্রগতি দেখে মুগ্ধ হন তিনি।
তিনি বলেন, ওয়ালটন কারখানায় আমি স্বচক্ষে যে কর্মযজ্ঞ দেখলাম, তা এক কথায় অকল্পনীয় ও অভাবনীয়। আমাদের দেশে যে এত উন্নত প্রযুক্তি পণ্যসামগ্রী উৎপাদিত হচ্ছে, এটা আমার জানা ছিল না। আমি সত্যিকারভাবেই অভিভূত। ওয়ালটনের মতো এরকম আরো প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠলে দেশ অতি দ্রুত উন্নত দেশের কাতারে স্থান করে নেবে।
কারখানা পরিদর্শনকালে দেশেই উচ্চমানের প্রযুক্তিপণ্য তৈরিতে ওয়ালটনের সাহসী উদ্যেগের ভূয়সী প্রশংসা করেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী। তিনি দেশীয় শিল্পদ্যোক্তাদের ওয়ালটনের মতো শিল্পপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
দুপুরে গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী এবং তার সফরসঙ্গীরা ওয়ালটন কারখানা কমপ্লেক্সে পৌঁছালে তাদেরকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ভাইস-চেয়ারম্যান এস এম শামসুল আলম এবং পরিচালক রাইসা সিগমা হিমা।
এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী পরিচালক হুমায়ূন কবির, আলমগীর আলম সরকার, কর্নেল (অব.) এস এম শাহদাত আলম ও লিয়াকত আলী, অ্যাডিশনাল অপারেটিভ ডিরেক্টর সোহেল রানা, সিনিয়র অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর মোহসিন আলী মোল্লা, মিডিয়া উপদেষ্টা এনায়েত ফেরদৌস প্রমুখ।
কারখানা প্রাঙ্গনে পৌঁছে গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী এবং তার সফরসঙ্গীরা প্রথমে ওয়ালটনের বিশাল কর্মযজ্ঞের উপর নির্মিত ভিডিও ডক্যুমেন্টারি উপভোগ করেন। পরে তারা ওয়ালটনের সুসজ্জিত প্রোডাক্ট ডিসপ্লে সেন্টার ঘুরে দেখেন।
এরপর তারা ওয়ালটনের বিশ্বমানের রেফ্রিজারেটর উৎপাদন প্রক্রিয়া সরেজমিনে পর্যবেক্ষণ করেন। পর্যায়ক্রমে অতিথিরা ওয়ালটনের মেটাল কাস্টিং, কম্প্রেসর, এসএমটি প্রোডাকশন, পিসিবি, কম্পিউটার এবং মোবাইল ফোন উৎপাদন ইউনিট ঘুরে দেখেন।
উল্লেখ্য, বিশ্বমানের প্রযুক্তিপণ্য উৎপাদনে ওয়ালটন একটি প্রশংসিত নাম। গাজীপুরের কালিয়াকৈরে প্রায় ৭০০ একর জায়গাজুড়ে স্থাপন করা হয়েছে ওয়ালটনের অত্যাধুনিক কারখানা। এখানে ফ্রিজ, টিভি, এসি, ল্যাপটপ, কম্পিউটার, মোবাইল ফোন, হোম ও ইলেকট্রিক্যাল অ্যাপ্লায়েন্স, লিফটসহ বিভিন্ন উচ্চমানের পণ্য তৈরি হচ্ছে।
উৎপাদনের পাশাপাশি বিভিন্ন পণ্যের গবেষণা ও উন্নয়ন, মান নিয়ন্ত্রণ, আন্তর্জাতিক ব্যবসা ইউনিটসহ বিভিন্ন বিভাগ গড়ে তুলেছে। ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ লেখা বুকে নিয়ে ওয়ালটনের তৈরি আন্তর্জাতিক মানের পণ্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যাচ্ছে। বাংলাদেশি পণ্য দিয়ে এবার বিশ্বজয়ের লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছে ওয়ালটন। লক্ষ্য অর্জনে বিশ্বের সবচেয়ে দামি ৫ মডেলের ফ্রিজ তৈরি করতে যাচ্ছে তারা। শৈল্পিক সৌন্দর্য, মান, আভিজাত্য, ধারণ ক্ষমতা, সাশ্রয়ী মূল্য এবং সর্বাধুনিক ফিচারসহ সবদিক দিয়ে যা হবে বিশ্বের অন্যতম সেরা স্মার্ট ফ্রিজ।
দেশীয় হাই-টেক শিল্পের এই অগ্রগতি দেখার উদ্দেশ্যেই প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ওয়ালটন কারখানা পরির্দশন করেন।