রাষ্ট্রীয় ডিভাইস বা নেটওয়ার্কে টিকটক ব্যবহারের অনুমতি না থাকার অঙ্গরাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন টেক্সাসের একদল অধ্যাপক। তারা জানিয়েছেন, শর্ট ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্মের ওপর এই নিষেধাজ্ঞার ফলে তাদের গবেষণা এবং শিক্ষাদান বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে। এ ছাড়া, টিকটিক সম্পর্কে শেখানো বা অন্য বিষয় সম্পর্কে শেখানোর সময় ক্লাসরুমে টিকটক ব্যবহার করা কঠিন হওয়ার কথাও জানান তাঁরা।
একাডেমিক রিসার্চ অ্যাডভোকেসি গ্রুপ কোয়ালিশন ফর দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেকনোলজি রিসার্চ পক্ষ থেকে মামলাটি দায়ের করেছে কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটির নাইট ফার্স্ট এমেন্ডমেন্ট ইনস্টিটিউট। মামলায় গভর্নর গ্রেগ অ্যাবটসহ ১৪টি অঙ্গরাজ্য ও পাবলিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের বিবাদী হিসাবে নাম দেওয়া হয়েছে।
অধ্যাপকরা বলছেন, এই নিষেধাজ্ঞা তাদের বাক স্বাধীনতা এবং একাডেমিক স্বাধীনতার প্রথম সংশোধনী অধিকার লঙ্ঘন করেছে। তাঁদের যুক্তি অনুযায়ী, তারা যা গবেষণা করে বা শেখায়, তা সরকার নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। টিকটককে নিয়ন্ত্রণ করতে এই নিষেধাজ্ঞাটি একটি অসাংবিধানিক প্রচেষ্টা।
মামলাটি এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে, তবে এটি টেক্সাসে টিকটকের ভবিষ্যতের উপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলবে। অধ্যাপকরা সফল হলে এটি একটি নজির স্থাপন করবে। ফলে যুক্তরাজ্যের অন্যান্য অঙ্গরাজ্যগুলোকে টিকটিক নিষিদ্ধ করতে বাঁধা দেবে।
নর্থ টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ের মিডিয়া আর্টস বিভাগের অধ্যাপক জ্যাকলিন ভিকারি। কীভাবে তরুণেরা নিজেদের প্রকাশ করতে এবং রাজনৈতিকভাবে সংগঠিত হতে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে- তা নিয়ে তিনি অধ্যয়ন করেন। তিনি বলেন, ‘টিকটকের ওপর নিষেধাজ্ঞা তাঁকে তাঁর গবেষণা প্রকল্প বন্ধ করতে, গবেষণার এজেন্ডা পরিবর্তন করতে এবং তার শিক্ষার পদ্ধতি পরিবর্তন করতে বাধ্য করেছে। তাকে কোর্সের উপকরণগুলোও বাদ দিতে হয়েছে, এবং এই বিষয়ে ছাত্রদের প্রশ্নের উত্তর দেওয়া এবং অন্যান্য গবেষকদের কাজ পর্যালোচনা করা কঠিন বলে মনে হয়েছে।’
অধ্যাপকেরা আশা করছেন, মামলাটি সফল হবে, এবং তাঁরা আবার তাদের গবেষণা এবং শিক্ষাদানে টিকটক ব্যবহার করতে সক্ষম হবেন।