ভুক্তভোগীরা না জানালেও হয়রানিমূলক কিংবা আপত্তিকর কোনো কন্টেন্ট স্বয়ংক্রিয়ভাবে শনাক্ত করার সক্ষমতা অর্জন করেছে টুইটার। হয়রানিমূলক কন্টেন্ট ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে মাইক্রো ব্লগিং সাইটটির এটিকে একটি বড় সাফল্য বলে বিবেচিত হচ্ছে।
টুইটারের পক্ষ থেকে এক ব্লগ পোস্টে বলা হয়েছে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের এ প্লাটফর্মে হয়রানিমূলক ও আপত্তিকর কন্টেন্ট ছড়িয়ে পড়া প্রতিরোধ করতে বহুদিন ধরেই একটি কৌশল উদ্ভাবনের চেষ্টা চলছে। এরই ধারাবাহিকতায় বর্তমানে বেশ কার্যকর একটি স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে।
ব্লগে আরো বলা হয়েছে, গত বছর সম্ভাব্য হয়রানিমূলক একটি কন্টেন্টও স্বয়ংক্রিয়ভাবে রিভিউ টিমের কাছে আসেনি। তবে নতুন প্রযুক্তি ব্যবহারের পর এখন ৩৮ শতাংশ হয়রানিমূলক কন্টেন্ট ভুক্তভোগী বা অন্য কেউ রিপোর্ট করার আগেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে রিভিউ টিমের কাছে আসছে। এ প্রক্রিয়ার মধ্যে যেসব বিষয় গুরুত্ব পাচ্ছে, সেগুলো হলো আপত্তিকর ও ঘৃণাত্মক আচরণ, আত্মপীড়ন বা আত্মঘাতে উসকানি, হুমকি এবং সহিংসতার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট যেকোনো কন্টেন্ট।
তবে টুইটারের এ স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থায় এখনো বিপুল পরিমাণ আপত্তিকর ও হয়রানিমূলক কন্টেন্ট শনাক্ত সক্ষমতার বাইরে থেকে যাচ্ছে। তার পরও টুইটার যে এ ব্যাপারে অনেকখানি এগিয়ে গেছে, সে কথা স্বীকার করতেই হবে। আপত্তিকর কনটেন্টের কারণে মাইক্রো ব্লগিং সাইটটি বরাবরই সমালোচনার মুখে পড়েছে।
এদিকে এরই মধ্যে আরো কিছু বিষয়ে টুইটারের বেশ অগ্রগতি হয়েছে। এর মধ্যে কোনো আপত্তিকর বিষয়ে রিপোর্ট করার ক্ষেত্রে ‘প্রসঙ্গ’ উল্লেখ করার সুযোগ থাকছে। তাছাড়া স্পাম ছড়ায় এমন অ্যাকাউন্ট প্রতিরোধ ব্যবস্থাও বেশ কার্যকর হয়ে উঠেছে।
এছাড়া ব্যবহারকারী চাইলে তার টুইটের সব রিপ্লাই হাইড করতে পারবেন, এমন একটি ফিচার নিয়ে কাজ করছে টুইটার। টুইটারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আগামী জুনেই তারা ফিচারটি পরীক্ষা করবে। অবশ্য গত বছরের শুরুর দিকে ফিচারটি দেখা গিয়েছিল। এ ফিচারটির মাধ্যমে ব্যবহারকারী কাউকে ব্লক করা ছাড়াই তার রিপ্লাই হাইড করে দিতে পারবেন।
টুইটারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) জ্যাক ডরসি ‘কনভারসেশন হেলথ প্রজেক্ট’ নামে একটি প্রকল্প নিয়েও কাজ করছেন বলে জানা গেছে। যদিও এ ব্যাপারে এখন পর্যন্ত কোনো হালনাগাদ তথ্য পাওয়া যায়নি। ব্যবহারকারীদের মধ্যে কোনো আলাপ স্বাস্থ্যকর কিনা, তা যাচাইয়ের ব্যবস্থা করা হবে এ প্রকল্পের মাধ্যমে।