আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই অ্যাপলের কথিত পরবর্তী প্রজন্মের স্মার্টফোন আইফোন ১৫ উন্মোচন করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে বড় ধরনের আপডেট থাকা সত্ত্বেও অ্যাপলকে এবার একটি কঠিন স্মার্টফোন বাজারের মধ্যে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে। খবর গ্যাজেটস ৩৬০।
আইফোন ১৫ মডেলটিকে ২০২০ সালে আইফোন ১২ উন্মোচনের পর থেকে এ সিরিজের প্রথম বড় ধরনের আপগ্রেড হিসেবে বিবেচনা করা হয়। নতুন এ মডেলে ডিসপ্লেতে আপগ্রেড, চার্জিং পোর্ট এবং দ্রুতগতির প্রসেসর থাকতে থাকতে পারে। আর আইফোন ১৫ প্রো মডেলে আরো টেকসই টাইটানিয়াম ফ্রেম থাকতে পারে। এর ডিসপ্লে বেজেল আরো সরু হতে পারে।
নিজের সাপ্তাহিক পাওয়ার অন নিউজলেটারে ব্লুমবার্গের মার্ক গুরম্যান উল্লেখ করেছেন, অ্যাপল অবশেষে স্বীকার করেছে যুক্তরাষ্ট্রে গত কয়েক ত্রৈমাসিক ধরে স্মার্টফোনের বাজার পতনশীল অবস্থায় রয়েছে। ফলে নতুন আইফোন ১৫ সিরিজ কেনার ব্যাপারে সম্ভাব্য ক্রেতাকে আকৃষ্ট করতে তাদের আরো কিছু করতে হবে। নতুন সিরিজে আইফোন ১৫, আইফোন ১৫ প্লাস, আইফোন ১৫ প্রো এবং আইফোন ১৫ প্রো ম্যাক্স মডেলগুলো থাকবে বলে জানা গেছে।
আগের প্রতিবেদন অনুযায়ী, আইফোন ১৫ এবং আইফোন ১৫ প্লাস মডেলে আপগ্রেড ক্যামেরাসহ গত বছরের আইফোন ১৪ প্রো মডেলের এ১৬ বায়োনিক চিপ এবং ডায়নামিক আইল্যান্ড থাকবে। অন্যদিকে আইফোন ১৫ প্রো এবং আইফোন ১৫ প্রো ম্যাক্সে একটি নতুন টাইটানিয়াম চ্যাসিস থাকবে, যা আরো টেকসই হবে। এছাড়া একটি ৩এনএম চিপসেট থাকবে গত বছরের মডেলগুলোর তুলনায় যেটি হবে অনেক দ্রুতগতির।
গুরম্যানের ভাষ্য অনুযায়ী, বাজার সংকোচন অ্যাপলের জন্য বড় ধরনের প্রতিবন্ধকতা হয়ে উঠতে পারে। কোম্পানিটির স্মার্টফোন বাজার অর্থনৈতিক মন্থরতার কারণে বেশ ভুগেছে।
অ্যাপলের প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে আইফোন বিক্রি কমেছে ২ দশমিক ৪ শতাংশ।