বিশ্বব্যাপী দিন দিন উন্নত হচ্ছে আর্টিফিসিয়াল ইন্টিলিজেন্স (এআই) বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। বিজ্ঞানীরা বলছেন, শিগগিরই মানুষের জায়গা দখল করবে কৃত্রিম রোবট। ফলে কাজ হারাবেন লাখ লাখ মানুষ। এমন কোনো কাজ নেই এআই শিখতে পারে না। তবে এই একটি সেক্টরে ব্যর্থ কৃত্রিম প্রযুক্তি। সেটি কি জানেন?
এটি হলো রিলিজিয়ন বা ধর্ম। এখানে নিযুক্ত কারও চাকরি দখল করতে পারবে না এআই। সাম্প্রতিক একটি গবেষণায় এমনই দাবি করা হয়েছে।
রিলিজিয়নকে ইন্ডাস্ট্রি বলা ভুল হবে। কিন্তু প্রতিটি ধর্মে ধার্মিক কাজ পরিচালনা করার জন্য নানা মানুষের প্রয়োজন হয়। মানুষের জন্য সমাজসেবায় নিয়োজিত থাকেন অসংখ্য কর্মী। তাদের রুটি-রুজি সবটাই এর ওপর নির্ভরশীল। কিন্তু গবেষণা বলছে, বিশ্বের একাধিক শিল্প বা ইন্ডাস্ট্রি এআই দখল করলেও এই ক্ষেত্রে মানুষের কাজ নিতে পারবে না আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স।
এআই যদি ধর্মীয় কাজে অংশগ্রহণ করতে শুরু করে তাহলে কি তাদের মানুষ বিশ্বাস করবে? এই প্রশ্নই তুলছেন বিশেষজ্ঞরা। সম্প্রতি দেখা গেছে এআই পুরোহিতের তত্ত্বাবধানে বিয়ে করেন এক দম্পতি। যা নিয়ে তুমুল তর্ক-বিতর্কের সৃষ্টি হয়।
অনেকের মতে, ধর্মে এআই এর ব্যবহার বিশ্বাসযোগ্যতা নষ্ট করতে পারে। সম্প্রতি জাপানের কিয়োটোতে কোডাই-জি বৌদ্ধ মন্দিরে মিন্ডার নামক একটি রোবট ব্যবহার শুরু হয়েছে। তাকে দেখতে অবিকল মানুষের মতোই। ধর্ম প্রচার করার সময় তার চোখ বুলিয়ে নেওয়ার দৃশ্য নজর কেড়েছে অনেকের।
জানা গিয়েছে, এই রোবট তৈরি করতে ব্যয় করা হয়েছে প্রায় ১০ লাখ ডলার। মন্দিরে দর্শন করতে যান এমন ৩৯৮ জনের একটি সমীক্ষা করা হয়। সেখানে দেখা যায়, যারা মিন্ডার রোবোটের প্রার্থনা শোনেন তারা কম অনুদান দেন। অন্যদিকে যারা মানব পুরোহিতের প্রার্থনা তারা বেশি অনুদান দেন।