অ্যাপলের আপকামিং স্মার্টওয়াচে বড়সড় পরিবর্তন আসছে। আগের তুলনায় পাতলা এবং নতুন ডিজাইন করা ব্যান্ড মেকানিজম থাকতে পারে। বর্তমান অ্যাপল ওয়াচ খুব বেশি জায়গা নেয়, যা বড় ব্যাটারি বা অন্যান্য উপাদানগুলোর জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে। এই কারণেই অ্যাপলের নতুন ডিজাইন করা ঘড়িতে একটি নতুন ম্যাগনেটিক ব্যান্ড কানেক্টিভিটি সিস্টেম থাকতে পারে।
প্রথম অ্যাপল ওয়াচ বাজারে এসেছিল ২০১৫ সাল। এরপর থেকে প্রায় প্রতি বছরই একপ্রকার নিয়ম করে নতুন মডেল নিয়ে আসে কুর্পাটিনোর প্রতিষ্ঠানটি।
অ্যাপলের সেপ্টেম্বর মাসের ইভেন্ট যতই এগিয়ে আসছে, তা নিয়ে জল্পনা ততই বেড়ে চলেছে। সেই ইভেন্টে আইফোন ১৫ সিরিজের পাশাপাশি লঞ্চ করা হতে পারে অ্যাপল ওয়াচ সিরিজ ৯ এবং দ্বিতীয় প্রজন্মের অ্যাপল ওয়াচ আল্ট্রা।
ব্লুমবার্গের মার্ক গুর্ম্যান দাবি করেছেন, পরবর্তী প্রজন্মের অ্যাপল ওয়াচগুলো সামান্য কিছু আপডেট পাবে। এর মধ্যেই নতুন খবর, অ্যাপল আরও একটি ‘ওয়াচ এক্স’ নিয়ে কাজ করছে, যা সম্ভবত অ্যাপল ঘড়ির দশম বর্ষপূর্তি উদযাপনে নিয়ে আসা হবে।
মার্ক গুর্ম্যান বলন, “২০২৩ সালের মডেলগুলোতে সামান্য কিছু পরিবর্তন করা হবে। তার পরবর্তী অ্যাপল ঘড়িগুলো বড়সড় আপডেট পেতে চলেছে।
তিনি আরও জানিয়েছেন, ওয়াচ সিরিজ ৪ এর পর থেকে ঘড়িগুলোর ডিজাইনে সেরকম কোনও বড় পরিবর্তন করা হয়নি। তবে ২০২৫ সালের মডেলটি অর্থাৎ যেটিকে অ্যাপল ওয়াচ এক্স বলা হচ্ছে, তাতে একাধিক বড়সড় পরিবর্তন করা হবে এবং তা ডিজ়াইন এবং ফাংশন উভয় দিক থেকেই।
যদিও এটা স্পষ্ট নয় যে অ্যাপল ২০২৪ বা ২০২৫ সালে ঘড়ি লঞ্চের সময় এই মডেলটি তৈরি করতে পারবে কি না। তবে, অন্যান্য বড় পরিবর্তনগুলো, যেমন বড় মাইক্রোএলইডি ডিসপ্লে এবং রক্তচাপ মনিটর অন্তর্ভুক্ত করা হতে পারে ওয়াচ এক্স-এ।
নতুন অ্যাপল ওয়াচ আসবে কবে?
গুর্ম্যান ভবিষ্যদ্বাণী করে বলেছেন যে, এই বছরের অ্যাপল ইভেন্টটি ১২ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে সিরিজ ৯, নতুন ওয়াচ আলট্রা এবং আইফোন ১৫ সিরিজ উন্মোচন করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। যাইহোক, নতুন ঘড়িগুলো পূর্ববর্তী মডেলগুলোর মতো একই আকার বজায় রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে। যেমন ৪১ এবং ৪৫ মিলিমিটার, এবং অ্যাপল ওয়াচ আলট্রার জন্য ৪৯ মিমি।
তিনি আরও উল্লেখ করেছেন যে, সবচেয়ে লক্ষণীয় পরিবর্তনগুলো হবে ঘড়ির নতুন রং এবং দ্রুত পারফর্ম করতে পারে এমন চিপসেট।