উৎসে ভ্যাটে ফাঁকি দেওয়া ১২ লাখ টাকা সরকারের কোষাগারে জমা দিয়েছে জেনেক্স ইনফোসিস লিমিটেড। সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে ওই টাকা জমা দেওয়া হয়েছে।
সম্প্রতি ঢাকা উত্তর কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটের কমিশনার ওয়াহিদা রহমান চৌধুরী সই করা এক চিঠি সূত্রে জানা যায়, ভ্যাট নিরীক্ষা, গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর জেনেক্স ইনফোসিসে অডিট করে গত দুই বছরে ওই ভ্যাট ফাঁকির বিষয়টি উদ্ঘাটন করে দাবিনামা জারি করে। এরপর সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে ওই টাকা জমা দেয় প্রতিষ্ঠানটি।
এনবিআর সূত্রে জানায়, জেনেক্স ইনফোসিস লিমিটেড ২০১৯ এর জুন থেকে ২০২১ সালের জুলাই পর্যন্ত সময়ে বিভিন্ন সেবার বিপরীতে উৎস ভ্যাট বাবদ ১১ লাখ ৩৩ হাজার ৪৩৯ টাকা ফাঁকি দিয়েছে। যেখানে ৮৬ হাজার ৬৪২ টাকা সুদ প্রযোজ্য হবে। সবমিলিয়ে ১২ লাখ ২০ হাজার ৮১ টাকা ভ্যাট বকেয়ার বিষয়টি ভ্যাট গোয়েন্দা অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে।
একইসঙ্গে আনিত অভিযোগের বিষয়ে কোনো আপত্তি করেনি প্রতিষ্ঠানটি। ফাঁকিকৃত ভ্যাটের সঙ্গে একমত পোষণ করে সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে ওই টাকা পরিশোধ করে ঢাকা উত্তর কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটকে অবহিত করেছে। যে কারণে মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন ২০১২ এর ৮৫ ধারা অনুযায়ী আপত্তিটি নিষ্পত্তি করা হয়েছে।
আরও জানা যায়, প্রতিষ্ঠানটি তাদের বিরূদ্ধে আনীত অভিযোগের বিষয়ে, কোন আপত্তি উত্থাপিত করেন নাই এবং দ্বিমত করে কোন বক্তব্য প্রদান করেন নাই, বরং নিজেদের ভুল স্বীকার করে নিরীক্ষা, গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর, মূল্য সংযোজন কর কর্তৃক আনীত অভিযোগের সাথে একমত পোষণ করে নিরীক্ষা প্রতিবেদন অনুযায়ী সুদসহ মূসক বাবদ অর্থ পরিশোধ করেছেন। প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ অভিযোগ স্বীকার করায় আনীত অভিযোগ যথাযথ ও প্রতিষ্ঠিত। প্রতিষ্ঠানটি আপত্তির বিপরীতে দাবিকৃত সুদসহ মূসক বাবদ অর্থ, নিরীক্ষা চলাকালীন সময়ে পরিশোধ করেছেন। চালানটি অনলাইন যাচাই এ সঠিক পাওয়া যায়।
প্রতিষ্ঠানটি দেশের গুরুত্বপূর্ণ শহরের একাধিক অঞ্চলের ভ্যাট সংগ্রহের দায়িত্বে রয়েছে। ২০২২ সালের নভেম্বরে ভ্যাট যন্ত্র ইলেকট্রনিক ফিসক্যাল ডিভাইস বা ইএফডি সরবরাহ, স্থাপন ও রক্ষণাবেক্ষণে জেনেক্স ইনফোসিস লিমিটেডের সঙ্গে চুক্তি করে এনবিআর। চুক্তি অনুযায়ী প্রতি অর্থবছরে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসমূহে ২০ হাজার ইএফডি-এসডিসি মেশিন সরবরাহ করার কথা। চুক্তি স্বাক্ষরের প্রায় ১০ মাস পেরিয়ে গেলেও কার্যক্রম উদ্বোধন হয়নি এখনো।