তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার দেশের মেধাবী তরুণ প্রজন্মের জন্য কর্মসংস্থানের নবদিগন্ত উন্মোচন করেছে।
বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) হবিগঞ্জ সদর উপজেলার আনন্দপুরে শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টারের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন উপলক্ষে শিল্পকলা একাডেমিতে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন তিনি।
পলক বলেন, তরুণ-তরুণীদের সময়ের সঙ্গে খাপ খাইয়ে প্রযুক্তিতে দক্ষ করে তুলতে শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে। এ সেন্টার থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে তারা ফ্রিল্যান্সিং, আউটসোর্সিং, ই-কমার্স উদ্যোক্তা এবং মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপার হয়ে আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে পারবে। সময়ের চাহিদার সঙ্গে তাল মিলিয়ে নিজেরা যাতে দক্ষতা তৈরি করতে পারে, সে লক্ষ্যে প্রতিবছর এ সেন্টারের কারিকুলাম পরিবর্তন করা হবে বলেও তিনি জানান।
তরুণদের চাকরির পেছনে ছুটতে হবে না উল্লেখ প্রতিমন্ত্রী বলেন, এই ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে তরুণরা শুধু নিজেদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে এমন নয়, অন্যদেরও কর্মসংস্থানের ক্ষেত্র তৈরি করবে।
তিনি বলেন, আমাদের নীতি: কথা কম, কাজ বেশি এবং সময়ানুবর্তিতা অনুসরণ করা। শুধু সময়মতো নয়; সময়ের আগে আমরা কাজ করতে চাই।’
তরুণদের ঢাকামুখী হতে হবে না উল্লেখ করে পলক বলেন, এই ট্রেনিং সেন্টার থেকে প্রতিবছর এক হাজার ছেলেমেয়ে সরাসরি কর্মসংস্থানের সুযোগ পাবে। পাশাপাশি হাজার হাজার ছেলেমেয়ে সরাসরি ও ভার্চুয়ালি প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে পারবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘দ্রুত পরিবর্তনশীল পৃথিবীর সঙ্গে খাপ খাওয়াতে আমাদের নতুন ধরনের দক্ষতা উন্নয়ন ও বিকাশে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়ন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে প্রতিটি সেবাকে সহজ, সুলভ ও দুর্নীতিমুক্ত করেছেন।
স্থানীয় কয়েকজন সফল ফ্রিল্যান্সারের নাম উল্লেখ করে পলক বলেন, যারা চাকরির পেছনে না ছুটে উদ্যোক্তা হয়েছে, তারাই আরও অনেকের চাকরির ক্ষেত্র সৃষ্টি করেছে।
উল্লেখ্য ৮০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৮ একর জায়গার ওপর শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টারের সাততলা ভবনটি নির্মাণ করা হবে।
বাংলাদেশ হাই-টেক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জিএসএম জাফর উল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বেসরকারি বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন স্থানীয় সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট আবু জাহিদ, শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবিশন সেন্টারের প্রকল্প পরিচালক মো. আতিকুল ইসলাম।