শ্রমিকদের কল্যাণে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনের তহবিলে ২৫.৯৯ কোটি টাকা জমা দিয়েছে গ্রামীণফোন, যা প্রতিষ্ঠানটির ২০২২ সালের ওয়ার্কার্স প্রফিট পার্টিসিপেশন ফান্ডের (ডব্লিউপিপিএফ) ১০ শতাংশ।
আজ (১৯ সেপ্টেম্বর) গ্রামীণফোনের চিফ হিউম্যান রিসোর্সেস অফিসার (সিএইচআরও) সৈয়দা তাহিয়া হোসেনের নেতৃত্বাধীন এক প্রতিনিধি দল শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এক অনুষ্ঠানে মন্ত্রণালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ানের হাতে ২৫ কোটি ৯৯ লাখ ৫০ হাজার ৫২১ টাকার চেক হস্তান্তর করেন। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. এহছানে এলাহী, গ্রামীণফোনের হেড অব ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিলেশনস অ্যান্ড এইচআর স্ট্র্যাটেজি কে এম সাব্বির আহমেদ, প্রতিষ্ঠানটির সিনিয়র ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিলেশনস মুহাম্মদ তাওহীদুল ইসলাম এবং ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিলেশনস এক্সপার্ট মো. হারুন অর রশিদ।
এ প্রসঙ্গে গ্রামীণফোনের চিফ হিউম্যান রিসোর্সেস অফিসার (সিএইচআরও) সৈয়দা তাহিয়া হোসেন বলেন, “টেলিনর গ্রুপের অংশ হিসেবে দায়িত্বশীল কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান হতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ গ্রামীণফোন। বিগত ২৫ বছরে, আমরা ডিজিটালাইজেশন এবং উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছি। এই যাত্রায়, আমরা স্মার্ট বাংলাদেশের লক্ষ্য অর্জনে ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত দক্ষ কর্মীবাহিনী গড়ে তুলতে অবদান রাখতে নিবেদিতভাবে কাজ করছি। এছাড়াও বাংলাদেশ সরকারের সহযোগিতায় প্রতিকূল সময়ে আমাদের কর্মীদের পাশে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে আমরা একইভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”
কর্মীদের জন্য একটি নিরাপদ কাজের পরিবেশ নিশ্চিত করাকে গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করে গ্রামীণফোন। পাশাপাশি, স্মার্ট বাংলাদেশের কানেক্টিভিটি পার্টনার হিসেবে এ যাত্রায়, দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নকে চলমান রাখার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখতে কেউ যেনো পিছিয়ে না থাকে তা নিশ্চিতে কাজ করে আসছে প্রতিষ্ঠানটি। এছাড়াও, গ্রামীণফোন ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তি ও তরুণদের দক্ষ করে তুলতে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করছে, যার মধ্যে রয়েছে ইউএনডিপি (জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি) এবং বিডা’র (বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ) অংশীদারিত্বে ফিউচারনেশন প্রকল্প। এ প্রকল্পের মাধ্যমে ১০ লাখ তরুণের জন্য অর্থনৈতিক সুযোগ তৈরিতে ভূমিকা রাখবে। এছাড়াও, তরুণ উদ্যোক্তা তৈরিতে ভূমিকা রাখছে জিপি অ্যাকাডেমি ও জিপি অ্যাকসেলেরেটর প্রোগ্রাম। জিপি অ্যাকসেলেরেটর প্রোগ্রাম সম্মানজনক ২০২১ ডিজিটাল বাংলাদেশ পুরস্কার অর্জন করেছে।
বাংলাদেশ শ্রম আইনের অধীনে স্থানীয় ও বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানগুলো বছর শেষে তাদের লাভের ৫ শতাংশের এক-দশমাংশ এই তহবিলে জমা দেয়। যাত্রার শুরু থেকে দায়িত্বশীল ও আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল প্রতিষ্ঠান এবং শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন তহবিলে অন্যতম সর্বোচ্চ তহবিল দাতা হিসেবে গ্রামীণফোন এখন পর্যন্ত ২১৩ কোটি ৩২ লাখ ২০ হাজার ৮২ টাকা জমা দিয়েছে।