সেমিকন্ডাক্টর উৎপাদনে ৫ হাজার ২৭০ কোটি ডলার ভর্তুকি দিতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে চীনসহ মার্কিন নিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে বিবেচিত দেশগুলো যাতে এর সুবিধা নিতে না পারে, সেজন্য নতুন এক নীতিমালা প্রণয়ন করতে যাচ্ছে দেশটির বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
চলতি বছরের মার্চে নীতিমালা প্রথম উত্থাপন করা হয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা বিবেচনা করে সেমিকন্ডাক্টর উৎপাদনে বিনিয়োগে কয়েকটি দেশকে বাদ দেয়ার প্রস্তাব করা হয়। বিশেষ করে চীন ও রাশিয়াকে বাদ দেয়ার জন্য জোর দেয়া হয়। ২০২২ সালের অক্টোবরে বেইজিংয়ের প্রযুক্তিগত অগ্রগতি ও যুক্তরাষ্ট্রের সুরক্ষা বিবেচনায় রফতানি নিরাপত্তা চালু করা হয়।
বাণিজ্যমন্ত্রী গিনা রাইমন্ডো বলেন, ‘চীন আমাদের ছাড়িয়ে যাবে, এমন ক্ষেত্রে আমরা একটা পেনি ব্যয় করতেও নারাজ। আমরা হয়তো পিছিয়ে রয়েছি। কিন্তু এখন অন্তত সঠিক সিদ্ধান্তটি নিতে হবে।’
নীতিমালার ভেতরে সেমিকন্ডাক্টর উৎপাদন বাড়ানোর জন্য বিদেশী বিনিয়োগকারীদের আগামী ১০ বছরের জন্য পৃষ্ঠপোষকতা দেয়ার কথা বলা হয়েছে। কিছু গবেষণা প্রতিষ্ঠানকে বাইরে রাখা হয়েছে যদিও। তবে বজায় রাখা হয়েছে আন্তর্জাতিক মান, পেটেন্ট লাইসেন্সিং ও তহবিলের নীতিমালা।
সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য স্পেস ও প্রয়োজনীয় কাঁচামালের পেছনে ব্যয় করা হবে অর্থ। নীতিমালায় কিছু সেমিকন্ডাক্টরকে দেশের নিরাপত্তার জন্য ক্ষতিকর হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে। ফলে সেসবের ওপর নিষেধাজ্ঞা বাড়ানোর প্রতি গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।
নিষেধাজ্ঞার অধীনে রয়েছে কোয়ান্টাম কম্পিউটিং কারেন্ট জেনারেশন ও ম্যাচিউর-নোড চিপ।